সারাদেশঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন বাদশা শেখ (৫০) নামের এক ব্যক্তি।
তাকে শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করে পুলিশ জানিয়েছে, বাদশার বিরুদ্ধে সাতটি হত্যাসহ বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবজিসহ ২০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি মামলা আদালতে বিচারাধীন।
গতকাল ১৭ নভেম্বর, রবিবার দিবাগত রাত পোনে ২টার দিকে এলাকার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের বটতলার কাছে একটি মেহগনি বাগানে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন।
জানা গেছে, নিহত বাদশা শেখের বাড়ি হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামে।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস এ সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া এলাকায় সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
কিছুক্ষণ পরে অন্যরা পালিয়ে গেলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী বাদশাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, সন্ত্রাসীদের গুলিতে এসময় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন- হরিণাকুণ্ডু থানার এসআই সরোয়ার হোসেন ও কনস্টেবল সোহেল। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
এদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক দুটি দল এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অংশ নেয়।
-ডিকে