সারােদশঃ
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ছোবলে সাগর প্রচণ্ড উত্তাল। এর পরিপ্রেক্ষিতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় সেন্টমার্টিনে ১২শ’ পর্যটক আটকা পড়েছেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ পর্যটকদের আটকা পড়ার এই তথ্য জানিয়েছেন। আর ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেছেন: আটকা পড়া এসব পর্যটকদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে বিষয়টি তদারকি করছে প্রশাসন।
বর্তমানে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হলেও রাতে এই সংকেত আরো বাড়তে পারে বলে বলছে আবহাওয়া অফিস।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ মোঃ আব্দুর রহমান জানিয়েছেন: আজ রাতের মধ্যে সংকেত আরো বাড়তে পারে। কক্সবাজারের প্রায় এলাকা এখনো শঙ্কামুক্ত নয়।
কক্সবাজারে অতিরিক্ত জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সাগরে এখনো রয়ে গেছে অনেক মাছ ধরার ট্রলার। কক্সবাজারের প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৯৭টি মেডিক্যাল টিম, ৬ হাজার ৪৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক।
গত রাত থেকে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কক্সবাজারের ৫টি নৌ রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কক্সবাজার জেলা বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক জানিয়েছেন: সাগর থেকে এখনো অনেক মাছ ধরার ট্রলার ফিরে আসেনি।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন জানান: ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সতর্ক অবস্থায় রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।