সারাদেশঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিজ ঘর থেকে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১১ অক্টোবর, শুক্রবার সকালে সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের ভালুকা গ্রাম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের ভালুকা গ্রামের ভরতচন্দ্র মণ্ডলের কন্যা সোহাগী রাণী মণ্ডল (২২) ও তার স্বামী ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপার ভবানীপুর গ্রামের কোমল কুমার রায়ের পুত্র বিপুল কুমার রায় (৩১)।
গত ২৭ জুন তাদের বিয়ে হয় বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা। দুর্গাপূজা উপলক্ষে স্বামী বিপুলকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন সোহাগী। আজ সকালেই তাদের ফিরে যাওয়ার কথা ছিলো।
নিহত সোহাগীর চাচাতো ভাই লিপু বলেন, ‘তিন মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। দিদি ও জামাইবাবু দুর্গাপুজায় কুমারখালীতে বেড়াতে এসেছিল। আজ সকালে তার শ্বশুরবাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।’
সকালে তাদের ঘুম না ভাঙায় ডাকাডাকি করেন স্বজনেরা। তাদের সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, বিপুল ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলে আছেন। আর সোহাগী পড়ে ছিলেন বিছানার ওপর।
পরিবারের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় এক চিকিৎসককে নিয়ে আসেন। তিনি বিপুল ও সোহাগীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তারা সংবাদ দিলে তাদের মরদেহ নিয়ে যায় পুলিশ।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম এ সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘নবদম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে পরিবারের সাথে কথা বলে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।’
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত জানান, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন।
-কেএম