অনলাইনঃ
ঢাকার বিভিন্ন রুটের বাস চালক ও হেলপারের ৫০ শতাংশই রয়েছে চোখের নানা সমস্যা। তাদের মধ্যে ৭২ শতাংশ চালক ও হেলপার জীবনে কখনও চোখের ডাক্তারের কাছে যাননি। ব্র্যাকের সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) ঢাকা ওয়েস্টের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত চক্ষু চিকিৎসা শিবিরে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আজ রোববার রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সদর কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে জরিপের এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
‘পঞ্চম বিশ্ব নিরাপদ সড়ক সপ্তাহ’ উদযাপনের অংশ হিসেবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
প্রেজেন্টশনে তুলে ধরা তথ্য অনুযায়ী, চক্ষুশিবিরে চিকিৎসা নেওয়া চালক ও হেলপারদের মধ্যে ২১ শতাংশই দৈনিক ১২-১৬ ঘণ্টা কাজ করেন। তাদের মধ্যে ১২ শতাংশের চোখের ছানির অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে বিআরটিএ পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, ড্রাইভারদের চোখের চিকিৎসায় আরও উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। ডা. নাহিদ ফেরদৌসী চালকদের চোখের স্ক্রিনিংয়ের বিষয়ে জোর দেন। ডা. জহিরুল ইসলাম তার বক্তব্যে চালকদের জন্য জাতীয় পর্যায়ে গাইডলাইন তৈরির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এ ব্যাপারে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এর আগে, ২৩-২৪ এপ্রিল সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে অনুষ্ঠিত চক্ষুশিবিরে ১২ শতাধিক চালক ও হেলপারকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ৩০ জন ডাক্তার ও মেডিকেল আ্যসিসট্যান্ট। প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে জেসিআই। দু’দিনব্যাপী এই শিবিরে ৭৬ শতাংশ রোগীকে চশমা ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে। ১২ দশমিক ৬ শতাংশের চোখে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওষুধ দেওয়া হয়েছে ৪ দশমিক ১০ শতাংশ রোগীকে।
-ডিকে