অনলাইঃ
শনিবার ৯ মার্চ ২০১৯ ঢাকা। উইমেন ইন লিডারশিপ (উইল) আজ শনিবার সাফল্যের সাথে আয়োজন করলো ৪র্থ উইমেন লিডারশিপ সামিট।
রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে আয়োজিত দিনব্যপী এ সামিটে প্রায় ৩৫০ জন অতিথি অংশগ্রহণ করেন। এবারের সামিটের মূল প্রতিপাদ্য ছিল “নারীর কর্তৃত্ব ও দৃশ্যমানতা অর্জনে সৃজনশীল নেতৃত্ব ও বৈচিত্রতা”।
২০১৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এ সামিটটি প্রতি বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত হয়ে আসছে। সামিটের পাশাপাশি আয়োজিত হয়ে থাকে ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড, যার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রের সফল এবং নেতৃস্থানীয় নারীদের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে উইমেন ইন লিডারশিপ – এর প্রেসিডেন্ট নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা বলেন, “নারীরা তাদের সকল কাজে স্বভাবতই বৈচিত্রের অধিকারী। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য লাভের ক্ষেত্রে তাদের এই গুণকে কৌশলের সাথে কাজে লাগাতে হবে। বর্তমানে নারীদের নির্ভীক হয়ে গড়ে উঠার ক্ষেত্রে উদ্যমী হতে হবে। তাদের ইচ্ছা বাস্তবায়নের জন্য তাদের সকল বাধা অতিক্রম করতে হবে। আর স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্য তাদের অবশ্যই সবল মনের পরিচয় রাখতে হবে।”
সামিটটিতে ছিল ২টি কিনোট সেশন, ৫টি প্যানেল ডিসকাশন, ৩টি ইনসাইট সেশন এবং ২টি ব্রেকআউট সেশন-যার মাধ্যমে নারী-পুরুষ সমতা, সমাজে ও কর্মক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্যানেল ডিসকাশনের বিষয়বস্তু হিসেবে ছিল-সমষ্টিগতভাবে বাধাবিপত্তি অতিক্রম, সৃজনশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনের উৎকর্ষতা সাধন, নারী নেতৃত্বের মাধ্যমে সামাজিক রাজনৈতিক কাঠামোকে প্রভাবিত করা, মিডিয়ার পুনঃনির্মাণের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন এবং ভবিষ্যত নারী সিইও তৈরি করা।
ইনসাইট সেশনগুলোতে ইএমকে সেন্টারে তরুণ প্রজন্মের স¤পৃক্ততা, গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ক আলোচনা এবং নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্র সৃষ্টির ক্ষেত্রে আলোকপাত করা হয়। এছাড়াও যৌন হয়রানি বিষয়ক প্রণীত নিয়মনীতি স¤পর্কে ব্রেকআউট সেশন পরিচালনা করে ব্র্যাক।
দিনব্যাপী এ সামিটটি দেশ জুড়ে সকল নারীর কণ্ঠস্বরকে একত্রিত করে নারী নেতৃত্ব এবং এ স¤পর্কিত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ আলোচনার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্র্ম হিসেবে আবির্ভূত হয়। তরুণ এবং অভিজ্ঞ নারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভবিষ্যতকে কীভাবে নারীদের জন্য আরো সুন্দর করে তোলা যায় সে স¤পর্কে আলোকপাত করা হয়।
সামিটে বক্তব্য প্রদান করেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের ২৬ জন অভিজ্ঞ প্রফেশনাল। কিনোট ¯িপকার হিসেবে ছিলেন নেপাল থেকে আগত ব্যবস্থাপনা পরামর্শক ও নির্বাহী কোচ সুমনা শ্রেষ্ঠ এবং বাংলাদেশে নরওয়ে দূতাবাসের সম্মানিত রাষ্ট্রদূত সিসেল ব্লেকেন।
সামিটের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বক্তা হিসেবে ছিলেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের ব্র্যান্ড মার্কেটিং এর কর্পোরেট অ্যাফেয়ারস প্রধান বিটপী দাস চৌধুরী; বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের চিফ হিউম্যান রিসোরসেস অ্যান্ড এডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ; ঢাকা ইউনিভার্সিটির বায়োকেমিস্ট্রি এবং মলেকিউলার বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ও চেয়ারপার্সন ডঃ জেবা ইসলাম সিরাজ; রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ডঃ রওনক জাহান; এক্সপ্রেশন্স লিমিটেডের ডিরেক্টর ও ক্রিয়েটিভ হেড ত্রপা মজুমদার; ইনক্লুসিভ এডুকেশন ও জেন্ডার বিষয়ক কন্সাল্ট্যান্ট ডঃ জোবাইদা আক্তার; ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম; গ্রামীনফোন লিমিটেডের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আযমান এবং রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।
উইমেন ইন লিডারশিপ সামিট এবং ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড হলো ইন লিডারশিপ (উইল) এর উদ্যোগ যা রেকিট বেঙ্কিজার বাংলাদেশের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এবং বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম দ্বারা আয়োজিত। এছাড়াও, অন্যান্য পার্টনার হিসেবে আছে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারস বাংলাদেশ ক্রিয়েটিভ ফোরাম, কর্পোরেট এন্ড এক্সেলেন্স, কালারস এফ এম ১০১.৬ এবং গ্রো এন্ড এক্সেল; পার্টনার ইএমকে সেন্টার, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং এমসিসিআই; ইভেন্ট পার্টনার লে মেরিডিয়ান, ঢাকা; লাইফস্টাইল পার্টনার অ্যাডভান্সড ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজিস লিমিটেড; টেকনোলজি পার্টনার আমরা টেকনলজিস লিমিটেড; মিডিয়া পার্টনার ঢাকা ট্রিবিউন এবং একাত্তর টিভি, এবং পি আর পার্টনার ব্যাকপেজ পি আর।
-শিশির