বিশেষ প্রতিবেদনঃ
বিগত ছয় বছর যাবৎ বাংলাদেশে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের (ডিআই) কাজ করে যাচ্ছে।

সারা দেশ থেকে আগত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও জাতীয় পার্টির ৩০ জন তরুণ রাজনৈতিক নেতা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের (ডিআই) তরুণ রাজনৈতিক বিকাশে ফেলোশিপ কর্মসূচির আওতায় গ্রাজুয়েশন অর্জন করলেন।

১১ জুলাই ২০১৯ তারিখে রাজধানীর হোটেল এসকটে তরুণ রাজনৈতিক ফেলোবৃন্দের সার্টিফিকেট বিতরণে গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল।

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের (ডিআই) এর চিফ অব পার্টি কেটি কোয়াক, গ্রাজুয়েটদের কঠিক পরিশ্রম করে সফলভাবে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করার জন্য আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। কেটি বলেন, আপনারা আমার কন্য এবং ডিআই এর জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি আরও বলেন আপনারা বাংলাদেশে তরুণ রাজনীতিবিদ আছেন যারা রাজনীতিতে অবদান রাখতে চান তাদের জন্য রোল মডেল। এবং নিজ এলাকাতে মানুষের জীবন উন্নত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এবং উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। দশটি জেলায় আপনারা সাড়ে তিন হাজারেও বেশি জনগনের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে নিজ জেলায় পিটিশন জমা দিয়েছেন, মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য। আজ যারা ফেলোমীপ প্রোগামের এলামনাইতে যুক্ত হবেন এবং আপনাদের সহ মোট এলামনাই সংখ্যা হবে ৩০১ জন। আমি বাংলাদেশের ভবিস্যৎ নিয়ে আশাবাদী। বাংলাদেশের নাগরিকদের উজ্জল ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য আপনাদের অবদান অনস্বীকার্ষ।

ড. হাসান মাহমুদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেমোক্রেসি ইন্টান্যাশনালকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই ট্রেনিং ডরার পেয়েছেন তারা আমাদের দলের বা অন্যান্য দলের কর্মী
একটি ভিন্ন মাত্রায় উন্নীত হয়েছেন।

সেলিমা রহমান বলেন, ডেমোক্রেসি ইন্টান্যাশনাল গত ছয় বছরে ট্রেনিং এর মাধ্যমে রাজনীনিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে একটা বিরাট পরিবর্তন ঘটিয়েছে যেটা আজকে দৃশ্যমান। ডিআই গত ছয় বছর যাবৎ রাজনীতির তৃনমূল পর্যায়ে তাদের বিভিন্ন পযায়ের ট্রেনিং করিয়েছেন। এই ট্রেনিং ধাপগুলো এই বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরাট অবদান রাখছে।

রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদ; বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান; এবং জাতীয় পার্টির সভাপতির উপদেষ্টা জনাব আশরাফ -উদ-দৌলাহ এই গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশে সহনশীল ও অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক দলে তরুণ নেতৃত্বের ক্ষমতায়নে তাঁদের সমর্থনের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ফেলোশিপ কর্মসূচির ১২তম ব্যাচের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এই কর্মসূচির আওতায় রাজনৈতিক ফেলোরা ঢাকায় গত ৪ মাস যাবৎ আবাসিক প্রশিক্ষণ পর্বে রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিকাশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন: দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা, ক্যাম্পেইন ম্যানেজমেন্ট, গণমাধ্যমের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, রাজনৈতিক যোগাযোগ বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ অর্জন করেন। দেশের তিনটি রাজনৈতিক দলের এই তরুণ নেতৃবৃন্দ একসাথে তাদের নিজ নিজ জেলাতে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, মশা নিধন কার্যক্রম, রাস্তা সংস্কার, এবং প্রাকৃতিক পানির আধার সংরক্ষণ ইস্যুতে কাজ করেছেন। এই গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে তরুণ নেতারা দলের জেষ্ঠ্য নেতৃবৃন্দের কাছে বহুদলীয় পর্যায়ে তাঁদের এডভোকেসি উদ্যোগের সফলতার গল্প তুলে ধরেন।

২০১২ সাল থেকে জাতীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের ২৫০ এরও বেশি তরুণ নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিকাশে ফেলোশিপ কর্মসূচির আওতায় গ্রাজুয়েশন অর্জন করেছেন। তরুণ ফেলোরা তাঁদের জেলায় স্থানীয় পর্যায়ে ১৫,০০০ এরও বেশি তরুণ কর্র্মীকে বিভিন্ন এডভোকেসি কার্যক্রম ও অন্যান্য কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করেছেন।

গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানটি ইউএসএআইডি ও ইউকেএইড -এর যৌথ অর্থায়নে ও ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের বাস্তবায়নে `Strengthening Political Landscape in Bangladesh’ প্রকল্পের অধীনে আয়োজিত হয়।

-শিশির

FacebookTwitter