অনলাইনঃ
বিভিন্ন খাতে সফল নারীদের সম্মানিত করলো দেশের স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এবং প্রযুক্তি ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং কোম্পানি পাঠাও।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ রোববার রাজধানীর আইইউবি অডিটোরিয়াম এ সন্মাননা প্রদান করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা, খেলাধুলা, সাংবাদিকতা, ব্যবসা, সেবা খাত এবং বহুজাতিক কোম্পানিসহ বিভিন্ন খাতে যেসব নারীরা তাদের নেতৃত্বের মাধ্যমে অসামান্য অবদান রেখে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন এবং তরুন প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হয়ে উঠেছেন, তাদেরকে এই সন্মাননা প্রদান করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সকাল ১০টায় ‘জেনারেশন ইকুয়ালিটি : রিয়ালাইজিং উইমেন’স রাইটস ইন সোশ্যাল জাস্টিস, টেক, একাডেমিয়া অ্যান্ড কর্পোরেট ওর্য়াল্ড’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ড. শামীম মাতিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় ঘণ্টাব্যাপী এই সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন সালমা আদিল, সিএফও, টপ অফ মাইন্ড, এলেনা খান, এডভোকেট, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন, সুস্মিতা আনিস, ম্যনেজিং ডিরেক্টর, এসিআই লিমিটেড, মুবিনা আসাফ, হেড অফ লিগ্যাল এন্ড এক্সটার্নাল এফেয়ার্স, ব্রিটিশ এমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ।

এছাড়া প্রথম পর্বের সম্মাননা প্রদান শেষে ‘চেঞ্জিং টাইমস অ্যান্ড চেঞ্জিং এরাস : উইমেন ইন জার্নালিজম , ইন্টারটেইনমেন্ট, স্পোর্টস অ্যান্ড মিডিয়া’ শীর্ষক আরো একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। প্রফেসর নিয়ায জামান এর সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন চয়নিকা চৌধুরী, নুরজাহান বোস, কনক চম্পা চাকমা, তুতলী রহমান, তারিন হোসেইন এবং সারা আলি।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর মিলান পাগন, ভাইস চ্যাঞ্চেলর (এক্টিং), প্রফেসর ইমতিয়াজ এ হুসাইন, ডিন (এক্টিং), স্কুল অব লিবারেল আর্টস এন্ড সোশ্যাল সাইন্স, ইন্ডেপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এবং পাঠাও সিইও হুসাইন এম ইলিয়াস।

প্রফেসর মিলান পাগন, ভাইস চ্যাঞ্চেলর(এক্টিং), ইন্ডেপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ বলেন, নারী নেতৃত্বকে উৎসাহ দিতে হবে রাষ্ট্রকে, সমাজকে। আজ রাষ্ট্র এবং সমাজের প্রতিটি খাতে নারী নেতৃত্ব নিজেদের প্রমান করেছে। নারীর এই নেতৃত্বই আমাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করবে উন্নয়নের ধারায়। পাঠাও এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত।

অনুষ্ঠানে পাঠাও এর সিইও হুসাইন এম ইলিয়াস বলেন, দেশ যখন মধ্যম আয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা আমাদের সকলের কর্তব্য।

স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর বাংলাদেশ আজ যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে সেটা সম্ভব হতো না নারীর অসামান্য নেতৃত্ব ছাড়া। এখানে খেলাধুলা, সাংবাদিকতা, আইনশৃঙ্খলা, দেশ রক্ষা, সকল কাজে আমাদের নারীরা নিজেদের দক্ষতার পরিচয় রেখেছে। নতুন প্রজন্মের কাছে অনুকরনীয় হয়ে উঠেছেন এই নারীরা। তাদেরকে সন্মানিত করতে পেরে পাঠাও গর্বিত।

-শিশির

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily