অনলাইনঃ
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘২০ তারিখ সন্ধ্যা থেকে পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়া বহিরাগত কেউ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না।
একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর নিরাপত্তায় ১৬ হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, শহীদ মিনার কেন্দ্রীক নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে ছয় হাজার পুলিশ সদস্য বলেও তিনি জানান।
এছাড়াও মহানগরীর অন্যান্য শহীদ মিনারগুলোতেও নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা একইসাথে ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান তিনি। এছাড়াও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকবে।
সিসিটিভির আওতায় থাকবে শহীদ মিনার এলাকার প্রতিটি ইঞ্চি জানিয়ে কমিশনার আরও বলেন, শহীদ মিনারের প্রবেশ পথে থাকবে আর্চওয়ে।আগতদের প্রত্যেককে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি চৌকি পেরিয়ে প্রবেশ করতে হবে। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে ডিবি, সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ক্রাইম সিন ভ্যান। পুরো এলাকা ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে।
ডিএমপি কমিশনার আরো জানান, কোনও সংস্থার পক্ষ থেকে বাণিজ্যিকীকরণের উদ্দেশে কোনও ব্যানার, ফেস্টুন ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভাসমান দোকান ও হকার উচ্ছেদ করা হবে এবং ২০ তারিখ সন্ধ্যা থেকে পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়া বহিরাগত কেউ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না বলেও তিনি জানান। এছাড়াও স্টিকার ছাড়া কোনও যানবাহন এ এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সাধারণ নাগরিকদের পলাশী হয়ে শহীদ মিনারে প্রবেশ করতে হবে।” দোয়েল চত্বর ও চানখাঁরপুল হয়ে বেরিয়ে যাবে বলেও তিনি জানান।
-ডিকে