আন্তর্জাতিকঃ
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হাতে নিহত ১০৪ ইয়াজিদির দেহাবশেষ ফিরিয়ে এনে নিজেদের নিয়মানুসারে দাফন করা হয়েছে।
২০১৪ সালে তারা নিহত হওয়ার পর তাদের ঠাঁই হয়েছিল গণকবরে।
সেখান থেকে তাদের মরদেহ তুলে নিনেভা প্রদেশের সিনজার পবর্তের কাছে কোহো গ্রামে দাফন করা হয় বলে আজ ৭ ফেব্রুয়ারি, রবিবার বিবিসি’র সংবাদে বলা হয়েছে।
ইয়াজিদি অর্গানাইজেশন ফর ডকুমেন্টেশনের প্রধান খাইরি আলী ইব্রাহিম জানিয়েছেন, নিহত ওই ১০৪ জনের সকলেই পুরুষ। ২০১৪ সালের আগস্টে তাদের হত্যা করেছিল আইএস।
শনাক্ত হওয়া ওই ১০৪ জনের মরদেহ কোহোতে আনার আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানী বাগদাদে অজানা সৈনিকদের স্মৃতিস্তম্ভে তাদের এক শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রত্যেকটি কফিনের ওপর সাজানো ছিল নিহত ব্যক্তিদের ছবি।
ইয়াজিদি মানবাধিকার কর্মী মির্জা দিনায়ি বলেন, ‘নিহতদের দেহাবশেষের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের প্রথম পদক্ষেপ এটি। আর অন্যান্য ভুক্তভোগীদের জন্যও এটি একটি অন্তবর্তী বিচারের পদক্ষেপ হবে।
সেই সাথে ওই গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া নারী-শিশুদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
২০১৪-১৫ সালের দিকে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় ইয়াজিদি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছিল আইএস। তারা এসময় কয়েক হাজার পুরুষকে হত্যা করে। এর পাশাপাশি নারী ও শিশুদের দাস হিসেবে নিলামে বিক্রিও করে আইএস জঙ্গিরা। সেইসাথে নির্বিচারে ইয়াজিদি নারীদের ওপর ধর্ষণের মতো নারকীয় অপকর্ম চালায় তারা। ইয়াজিদিদের ওপর আইএসের তাণ্ডবকে জাতিসংঘ গণহত্যা হিসেবেও অভিহিত করেছিল।
২০১৪ সালের আগস্টে আইএসের হামলা চালানোর আগে ইরাকজুড়ে বাস ছিল প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ইয়াজিদির। এই জিহাদি গোষ্ঠীটির অত্যাচারে এদের মধ্যে সাড়ে তিন লক্ষাধিক অন্যত্র পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
-কেএম