হোস্টেলে ধষর্ণ: আরও ১ জন গ্রেপ্তার

সারাদেশঃ

সিলেট মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণের মামলার আসামি সাইফুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর এবার মামলা ৪ নং আসামি অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এনিয়ে এই মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

আজ রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) হবিগঞ্জের মাধবপুরের মনতলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। অর্জুন লস্কর মামলার ৪ নম্বর আসামি।

সুনামগঞ্জের ছাত্রক থেকে আজ রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে এই মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার সাইফুর রহমান সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার সোনাপুরের চান্দাইপাড়ার মো. তাহিদ মিয়ার ছেলে। ঘটনার দিন রাত ৩টার দিকে এমসি কলেজের হোস্টেলে অভিযান চালিয়ে সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা ও একটি চাকু, দুটি লোহার পাইপ, প্লাসসহ বিভিন্ন জিনিস জব্দ করে পুলিশ। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলার একমাত্র আসামিও তিনি। 

সুনামগঞ্জের এসপি মিজানুর রহমান জানান, সকালবেলা ছাতক থেকে ঘটনার প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি বলেন, সকালে ছাতক থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের জানামতে মামলার এজাহার অনুযায়ী আটক করা ব্যক্তিই প্রধান অভিযুক্ত।

এর আগে ধর্ষণের ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে নগরীর শাহপরাণ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, রবিউল হাসান, তারেক আহমদ ও অর্জুন। এজাহারভুক্ত আসামিদের সবাই আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রঞ্জিত সরকারের অনুসারী এবং ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানা গেছে।

গেল শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির এক তরুণী স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসেন। এ সময় ছাত্রলীগকর্মী এম. সাইফুর রহমান ও শাহ মাহবুবুর রহমান রনির নেতৃত্বে স্বামী ও স্ত্রীকে পার্শ্ববর্তী কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে সেখানে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে তারা।

এসময় ছাত্রলীগকর্মীরা ওই তরুণীর স্বামীর প্রাইভেটকারও ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের প্রাইভেটকার উদ্ধার করে। পরে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।

-ডিকে

FacebookTwitter