অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকেঃ
দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলি স্থলবন্দরের মোকামে বাইরে থেকে পাইকার না আসায় আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়িরা।
ফলে পেঁয়াজ বিক্রি করতে না পারায় ক্রেতা সংকটের কারণে গুদামে মজুত করা পেঁয়াজ পচে নষ্ট হচ্ছে। এতে করে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
আজ শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সকালে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিদিন ভোর থেকেই হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজের মোকামগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যস্ততা বাড়ে।
কিন্তু এই কয়েকদিনের চিত্র একটু ভিন্ন। বাইরে থেকে মোকামে ক্রেতা না আসায় বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সেই আনাগোনা নেই। তবে শ্রমিকরা গুদামে থাকা পেয়াজ নাড়াচাড়া করার কাজে ব্যস্ত। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দেখা গেল গুদামে মজুদ করা পেয়াজ তারা বাছাই করছেন।
এরমধ্যে থেকে ভালো পেয়াজ বাছাই করে ফ্যানের বাতাস দিয়ে শুকাচ্ছেন। আবার পচা পেয়াজ আলাদা করে কমদামে বিক্রি করছেন।
পচা ও আংশিক পচা পেয়াজের বস্তা বিক্রি করছেন ১০০-২০০ টাকায়।
বন্দরে পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবলুর রহমান জানান, দুর্গাপূজায় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত লম্বা ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে।
একারণে বন্ধ থাকে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। এসময় পেঁয়াজের চাহিদা মিটাতে ভারত থেকে বেশি পেয়াজ আমদানি করে মজুদ করা হয়েছে।
কিন্তু দেশে পেয়াজের দাম স্বাভাবিক থাকায় ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা না আসায় কাঙ্খিত ভাবে বিক্রি হচ্ছে না। ফলে পচে নষ্ট হওয়ায় আমার ২০-২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আরেক আমদানিকারক মতিউর রহমান লাবু জানান, অতিরিক্ত গরম আর ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণেও গুদামে পেঁয়াজ পচে নষ্ট হচ্ছে।
বর্তমানে হিলি বন্দরের আমদানিকারকদের প্রায় ৫০০ মেট্রিকটন পেয়াজের অধিকাংশ নষ্ট হয়ে। ফলে আমরা বাছাই করে নষ্ট পেয়াজ ফেলে দিচ্ছি। যেগুলি একটু ভালো সেগুলি বস্তা প্রতি ১০০-২০০ টাকায় বিক্রি করছি। যাতে কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যায়।
-শি