আইন আদালতঃ
রাজধানীর কলাবাগানে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীকে মারধোরের অভিযোগে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল ২৫ অক্টোবর, রবিবার রাত ১০টার পর ধানমণ্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় প্রধান আসামি করা হয়েছে হাজী সেলিমের ছেলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ এরফান সেলিমকে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় আটক তাদের গাড়িচালককে এ মামলা গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বলেন, ‘লেফটেন্যান্ট ওয়াসিক আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনায় আজ সকালে মামলা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে এরফান সেলিমকে।’
লেফটেন্যান্ট ওয়াসিক ঢাকায় বিএনএস হাজী মহসীন নৌবাহিনীঘাঁটিতে কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রাত ১০টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে ওই এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিক। ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকার লাগানো হাজী সেলিমের গাড়িটি তার বাইকে ধাক্কা দেয়।
এসময় নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা মোটরসাইকেল থামিয়ে নিজের পরিচয় দেন এবং এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। এসময় হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে তার দেহরক্ষীরা নেমে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিককে মারধোর করে। একপর্যায়ে মারধোরে যোগ দেন হাজী সেলিমের ছেলেও। ওই কর্মকর্তা আত্মরক্ষার চেষ্টা করলেও তার দাঁত ভেঙে যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণকৃত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিকের মুখে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। ঘটনার সময় স্ত্রীর গায়েও হাত দেয়ার অভিযোগ করেন নৌবাহিনীর এই কর্মকর্তা। তিনি জানান, স্ত্রীর বই কিনে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন।
ঘটনার সময় স্থানীয় জনসাধারণ জড়ো হন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে এলে গাড়ি রেখে হাজী সেলিমের ছেলেসহ ৪ জন সটকে পড়েন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটিতে দেখা ও ধানমণ্ডি থানার সামনে থাকা জব্দকৃত হাজী সেলিমের গাড়ির নম্বর ছিল ঢাকা মেট্টো–ঘ ১১-৫৭৩৬।
-কেএম