সারাদেশঃ
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
কাউন্সিলর খোরশেদ করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিদের দাফন ও সৎকারে এগিয়ে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম। ৩০ মে, শনিবার তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে।
এদিকে তার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনাও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কাউন্সিলর খোরশেদের একদিন আগে নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ আসা তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। তিনি প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।
করোনায় মারা যাওয়া ৬১ লাশ দাফন করে মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত এই কাউন্সিলর এখন স্ত্রীর জীবন বাঁচাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছুটছেন। নারায়ণগঞ্জ শহরের কোনো হাসপাতালে আইসিইউ না পেয়ে শনিবার মধ্যরাতের পর কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার কাঁচপুর সাজেদা হাসপাতালে পৌঁছান। তবে সেখান থেকে আইসিইউ পাওয়ার কোনো নিশ্চয়তা মিলেনি। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাউন্সিলর খোরশেদের পরিচয় পেয়ে সকালে আইসিইউয়ের ব্যবস্থা করে দেয়ার চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
শনিবার মধ্যরাতে সাজেদা হাসপাতালে পৌছার পর কাউন্সিলর খোরশেদ বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে আমার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনার নাকে অক্সিজেন লাগানো হয়েছে। তার পুরো শরীর নিস্তেজ হয়ে গেছে। একটু দোয়া করেন সবাই প্লিজ।’
তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও এখন করোনায় আক্রান্ত। আমার করোনা পজেটিভ আসার খবর পাওয়ার পর আমার স্ত্রী লুনা আরও ভেঙে পড়েছে।’
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জে করোনাকালীন সময়ের শুরু থেকেই কাউন্সিলর খোরশেদ করোনা প্রতিরোধে কাজ শুরু করেন। ব্যক্তি পর্যায়ে তিনিই প্রথম হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরীর কাজ শুরু করেন এবং প্রায় ৬০ হাজার বোতল বিনামূল্যে বিতরন করেন। পরবর্তীতে করোনা আক্রান্ত মৃতদের মরদেহ দাফন ও সৎকার করে দেশ-বিদেশে আলোচনায় চলে আসেন। তিনি জেলার সেচ্ছাসেবীদের নিয়ে টিম খোরশেদ-১৩ বনাম কোভিড-১৯ নামে একটি বিশেষ টিম গঠন করেছেন। ইতিমধ্যে এই টিমের অনেকেই করোনা আক্রান্ত হলেও তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
-ডিকে