অনলাইন ডেস্কঃ
স্বপ্নের বাড়ি ফেরা। ঈদুল আজহায় বাড়ি ফিরতে অনেকে যুদ্ধ করে অগ্রিম টিকিট পেয়েছেন। আবার অনেকে চেষ্টা করেও যোগাড় করতে পারেননি কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের টিকিট।
তাই ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অনেকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টিকিট কম, কিন্তু চাহিদা বেশি। সবাইকে এত টিকিট দেওয়া সম্ভব না। অগ্রিম টিকিট যা ছিল, তা ইতোমধ্যে বিক্রি করা হয়েছে।
তবে যাত্রীদের অভিযোগ, মূলত বেশি মুনাফার আশায় নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকিট মজুদ রেখেছে বাস কাউন্টারগুলো। সেটা ঈদের দুই দিন আগে বেশি দামে বিক্রি করা হবে। কারণ ঈদের আগে পরিবহন পাওয়া যায় না, তাই বাধ্য হয়ে বেশি দামে টিকিট কিনেন যাত্রীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বাস কোম্পানির সেলস এক্সিকিউটিভ জানান, ঈদে বাড়তি মুনাফার আশায় থাকে পরিবহন কোম্পানিগুলো। এজন্যই মূলত টিকিট সংকট তৈরি করা হয়।
এদিকে ৮ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির শেষ দিন ছিল রোববার। এ দিন জনসমুদ্রে পরিণত হয় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। এ দিন ২১ আগস্টের টিকিট বিক্রি করা হয়। কমলাপুর রেল স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, শত শত মানুষ টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। ট্রেনের টিকিটের আশা অনেকেই আর না করে দূর পাল্লার যযাত্রায় জ্যামকে মেনে নিয়েছেন। তাঁরা জ্যামকে মানষিকভাবে মেনে নিয়েই বাসের টিকিট পেতে চেষ্টা করছেন।
সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রির শুরুতেই ২৬টি কাউন্টারের সামনে টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন আঁকাবাঁকা হয়ে টার্মিনাল ভবন ছাড়িয়ে রাস্তায় গিয়ে ঠেকে। ৪ দিন যারা দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পাননি, তাদের একটি অংশ রোববারও লাইনে ছিলেন। শেষদিনও তাদের অনেকেই টিকিট পাননি। যাত্রীদের স্টেশন ম্যানেজারের রুমে গিয়ে ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা যায়।
তাদের অভিযোগ, অধিকাংশ টিকিট বিশেষ কোটার জন্য রেখে দেয়া হয়েছে। কাউন্টার থেকে লোক দেখানো কিছু টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। ভিআইপি কোটার নামে বেশি দুর্নীতি হচ্ছে। কোটার টিকিট নিয়ে ব্যস্ত রেল কর্মকর্তারা।
অভিযোগ অস্বীকার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, কমলাপুর থেকে প্রতিদিন মাত্র ২৬ হাজার ৮৯৫টি আগাম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। আর টিকিট প্রত্যাশীদের সংখ্যা ৩৫ থেকে ৪০ হাজার। ফিরতি টিকিট ১৫ আগস্ট থেকে বিক্রি শুরু হবে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী জানান, টিকিট না পাওয়া যাত্রীরা একের পর এক অভিযোগ করছেন। তাদের প্রশ্নের শেষ নেই। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, কাউন্টার থেকে ৬৫ শতাংশ টিকিট দেয়া হচ্ছে। লাইনে দাঁড়ানো যাত্রীদের প্রায় সবাই ৪টি করে টিকিট নিচ্ছেন। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকিট শেষ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এবার একটি টিকিটও কালো বাজারি হয়নি।’ সবাইকে টিকিট দেয়া সম্ভব নয় স্বীকার করে তিনি বলেন, সাধারণ টিকিট বিক্রি করতে যে পরিমাণ চাপ সহ্য করতে হচ্ছে, তার চেয়ে বহুগুণ বেশি চাপ সহ্য করতে হচ্ছে ভিআইপি টিকিট দিতে।
-আরবি