অনলাইন রিপোর্টঃ

সোনা ব্যবসায়ীদের অনাগ্রহের কারণে প্রায় ১০ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে সোনার নিলাম। এর কারণ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান বলেন, নিলাম ডাকা হলে তারা ৪০ হাজার টাকা দামের প্রতিভরি সোনার দাম হাঁকেন তিন হাজার টাকারও কম।

২০০৮ সালের নিলামের সময় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছিলেন, দেশে নাকি সোনার চাহিদা নেই।’

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ম. মাহফুজুর রহমান আরো বলেন, দুই কারণে সোনার নিলাম হচ্ছে না। প্রথমত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে জমা রাখা বেশিরভাগ সোনার বিষয়ে মামলা এখনও বিচারাধীন। দ্বিতীয়ত, নিলাম ডাকা হলে সোনা ব্যবসায়ীরা দাম হাঁকেন খুবই কম।

জানা গেছে, যেসব সোনার বিপরীতে করা মামলার নিষ্পত্তি হয় এবং ভল্টে রাখা সোনা যদি আদালতের মাধ্যমে সরকারের অনুকূলে জব্দ করা হয়, সেসব সোনা শুরু নিলাম করা হয়। তবে যেসব সোনার বার বা বিস্কুট আকারে আছে, সেগুলোকে বিশুদ্ধ স্বর্ণ মনে করা হয়। এগুলো সাধারণত বাংলাদেশ ব্যাংক কিনে নেয়। পরে তারা এগুলোকে রিজার্ভে দেখানোর জন্য ভল্টে রেখে দেয়। নিলামের টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে দিয়ে দেয়।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সর্বশেষ সোনার নিলাম ডেকেছিল ২০০৮ সালে। ওই বছর চার দফায় ৯১ কেজি সোনা নিলাম করা হয়। তারপর থেকে এ পর্যন্ত ৯৬৩ কেজির কিছু বেশি পরিমাণ জব্দ করা সোনা আদালতের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অস্থায়ী খাতে জমা পড়েছে।

সূত্র জানায়, স্বাধীনতার পর থেকে জব্দ হওয়া সোনার মধ্যে রাষ্ট্রের অনুকূলে আদালত থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া দুই হাজার ৩০০ কেজি সোনা কিনে রিজার্ভে যোগ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বছরে ১৮ কেজি সোনা রিজার্ভে নেওয়ার কথা ছিল। এছাড়া, ১০ কেজি সোনা নিলামে বিক্রির কথা থাকলেও আপাতত তা স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

তবে সোনা ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি গঙ্গাচরণ মালাকার বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক এখন আমাদের কাছে আন্তর্জাতিক বাজার দরে সোনা বিক্রি করুক, আমরা সব সোনা নিয়ে নেবো।

তিনি বলেন, তখনকার পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, এখন আমরা কম দাম দেবো না। আন্তর্জাতিক বাজারে যে দাম আছে, তা-ই দেবো।

ডিকে

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily