অনলাইনঃ
বাস চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহত হওয়ার পর রাজধানীতে বাসটির চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। বাসটির লাইসেন্সও ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে।
তিনি জানান, বুধবার দুপুরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের গাজীপুরা এলাকায় সুপ্রভাত পরিবহনের নাম মুছে সম্রাট পরিবহনের নামে পেন্টিং করতে দেখেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) একজন শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার পর রাতারাতি রং বদলে দিয়েছে সুপ্রভাত। এ কোম্পানির বিভিন্ন বাস রাতারাতি রং বদলিয়ে সম্রাট পরিবহনে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাচ্ছে।
এ ছাড়া গাড়ির মালিকরা তাদের সুবিধামতো কোম্পানিতে নিজেদের বাস অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যস্ত রয়েছেন।
লাইসেন্স বাতিলের একদিনের মাথায় বুধবার সুপ্রভাত পরিবহন তাদের বাসগুলোতে নতুন রং দিতে শুরু করেছেন। বাসগুলোর ওপর থেকে মুছে যাচ্ছে ‘সুপ্রভাত’ লেখা নাম, সেখানে লেখা ভেসে উঠছে ‘সম্রাট’।
গাজীপুরা এলাকার এমরান হোসেন নামে একজন জানান, রাজধানীর সদরঘাট থেকে গাজীপুর মহানগরীর গাজীপুরা রুটে চলাচলকারী ‘সুপ্রভাত স্পেশাল বাস সার্ভিস’ পরিবহনের কিছু বাস রাতারাতি রং বদলিয়ে এখন হয়ে যাচ্ছে সম্রাট ট্রান্সলাইন (প্রা.) লি.।
একাধিক শ্রমিক, বাসচালক ও সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুপ্রভাত স্পেশাল বাস সার্ভিসটির রুট পারমিট রাজধানীর সদরঘাট থেকে রামপুরা হয়ে উত্তরা পর্যন্ত।
কিন্তু এক প্রভাবশালী পরিবহন নেতার প্রভাবের কারণে চলছে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর গাজীপুরা পর্যন্ত। যেখানে ৭০টি বাস চলার অনুমতি রয়েছে, সেখানে চলছে প্রায় সাড়ে তিন শত বাস।
সু-প্রভাত পরিবহনের টঙ্গী স্টেশন রোডের সুপারভাইজার কামরুল ইসলাম জানান, সুপ্রভাত পরিবহনের বাসের রং বদলিয়ে অন্য পরিবহনের নামে চলার বিষয়টি তার জানা নেই। এটি মালিক কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের (দক্ষিণ) সহকারী কমিশনার মো. নজরুল ইসলাম জানান, কোনো কোম্পানির বাস অন্য কোম্পানিতে পদ্ধতিগতভাবে স্থানান্তর করতেই পারে। তবে সেটা দেখতে হবে বাসটি যে কোম্পানিতে যাচ্ছে সে কোম্পানিটির বৈধ অনুমোদন আছে কিনা।
সুপ্রভাত পরিবহনের কোনো বাস অন্য কোম্পানির নামে পরিবর্তিত হচ্ছে- এমনটা আমার জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
তবে সুপ্রভাত পরিবহনের কোনো বাস এখন আর গাজীপুরে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।