সারাদেশঃ
সারাদেশে বজ্রপাতে নারী ও শিশুসহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৯ জন।
মঙ্গলবার (২৩ মে) নরসিংদী, পাবনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুড়িগ্রাম সুনামগঞ্জ, চাঁদপুর ও শরীয়তপুরে বজ্রপাতে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজনই নরসিংদীর।
এদিন সকাল থেকে নরসিংদীর বিভিন্ন উপজেলার পৃথক পৃথক স্থানে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে নারী ও শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া তিনজন আহত হন। নিহতরা হলেন- রায়পুরা উপজেলার ফকিরের চর গ্রামের মোমরাজ মিয়ার স্ত্রী সামসুন্নাহার (৪৫), একই উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে জাবেদ মিয়া (১২), মনোহরদী উপজেলার পাতরদিয়া গ্রামের মৃত বাদল মিয়ার ছেলে রায়হান মিয়া (২৫), নরসিংদী শহরের পশ্চিমকান্দা পাড়ার সুকুমার রায়ের ছেলে শুপ্তকর (১৪) ও শিবপুরের দক্ষিণ সাদারচর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া (৩০)।
অন্যদিকে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মাঠে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ২ শ্রমিকের মৃত্যুর হয়েছে। মৃতরা হলেন- চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা গ্রামের বাসিন্দা শাকিল হোসেন (১৯) ও রমিজ উদ্দিন (৩০)।
এ সময় বজ্রপাতে আরও অন্তত ১৩ জন আহত হন। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন- নাসিরনগর উপজেলার সোনাতলা গ্রামের মতি মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হক (৩২) ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের মনু মিয়া।
এদিকে সুনামগঞ্জে নদীপথে ট্রলারে ধান পরিবহনের সময় বজ্রপাতে ওমর মিয়া (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
ওমর ধর্মপাশা উপজেলার বাদে হরিপুর গ্রামের মৃত আলিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি জয়স্রী উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ত।
এ ছাড়া চাঁদপুরের সদর উপজেলায় বজ্রপাতে মো. হাছান মিজি (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
তিনি উপজেলার ৫ নং রামপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ছোটসুন্দর গ্রামের মৃত কলোমদ্দিন মিজির ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন।
অন্যদিকে কুড়িগ্রামে মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতরা হলেন, উলিপুর উপজেলার শাহাজালাল (৪৫) ও চিলমারী উপজেলার অবরু শেখ (৫০)।
এ ছাড়া আরও তিনজন আহত হয়েছেন। পাশাপাশি শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় বজ্রপাতে মো. মাঈনুদ্দিন (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
-জেএফ