সাভারে এক নারী শ্রমিক ও পাঁচ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পৃথক দুটি ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে সাভার পৌর-এলাকার মুক্তির মোড়ের একটি ভাড়া বাসার নিজ কক্ষে নারী শ্রমিক গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। অপর ঘটনাটি গেলো সোমবার সাভার পৌর-এলাকার আনন্দপুর এলাকার।
গণধর্ষণের শিকার ওই নারীর ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ও পাঁচ বছরের ওই শিশু ধর্ষণের ঘটনায় এলাকাবাসী ধর্ষক মনোয়ারুল ইসলামকে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সাইফুল ইসলাম এমন তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গণধর্ষণের ঘটনায় ছয়জন আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে। এছাড়া পাঁচ বছরের ওই শিশু ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে গণধর্ষণের শিকার ওই নারী শ্রমিক ছয়জনের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সাভার মডেল থানা পুলিশ আরও জানায়, সাভার পৌর-এলাকার মুক্তির মোড়ে মুকুল মিয়ার বাড়িতে সিংগাইর এলাকার আখতার ফার্নিচারের নারী শ্রমিক তার স্বামী নিয়ে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই নারী শ্রমিকের ঘরের দরজা ভেঙে স্থানীয় রিকসা গ্যারেজের ছয়জন ব্যক্তি প্রবেশ করে তার মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। এ সময় গণধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেন ধর্ষণকারীরা।
পরে বুধবার বিকেলে ওই নারী গণধর্ষণের অভিযোগে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
গণধর্ষণের শিকার ওই নারী শ্রমিককের স্বামী নুরুল ইসলাম ব্যক্তিগত কাজে বর্তমানে গ্রামে থাকায় ধর্ষণকারীরা এই সুযোগে ঘরে প্রবেশ করে তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে গণধর্ষণ করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। গণধর্ষণের শিকার ওই নারীর বাড়ি নওগাঁ জেলার মান্দা থানার বন্দিপুর গ্রামে। ধর্ষণের শিকার নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
সাভার মডেল থানার এস আই (উপ-পরিদর্শক) সাফায়েত বলেন, গণধর্ষণের শিকার ওই নারী ছয়জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আসামিদের আটকের প্রক্রিয়া চলছে।
-কেএম