ডেস্ক রিপোর্টঃ
কারামুক্তির পর কারা ফটকে ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরণ করে নেন স্বজন ও নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলায় তার দণ্ড হয়। এর মধ্যে দুটি মামলায় তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়েছিল এবং একটিতে দেওয়া হয়েছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
বাবরের কারামুক্তি উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ বাবরের ভক্তদের কারা ফটকে জমায়েতের জন্য বেশ আগে থেকেই প্রচারনা করেছেন, এর মধ্যে বাবরের প্রিয়জন আনেয়ারুল হক রয়েল ফেসবুকে লিখেন, মানবতা অনুপস্থিত প্রায় ১৮বছর নির্দোষ কারানির্যাতন ভোগ করলেন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১২টায় কেরানীগঞ্জ কারাগার ফটকের সামনে আকুতি নিয়ে অপেক্ষা করবো এই মানুষটিকে সম্মান জানাতে। ইনশাআল্লাহ।
আমার দেখা সবচেয়ে মজলুম মৃত্যুঞ্জয়ী মানুষটিকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান টুকু দিতে সবাই চলে আসুন।
রাশেদ খান তার ফেসবুকে অন্য কারো পাঠানো অবেগের বানী নিজ স্ট্যাটাসে লিখেন,
বাবরনামা~~~
নেত্রকোনা থেকে রাফি নামের একজন ম্যাসেজ করেছেন।
“আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন রাশেদ ভাই?
আজকে সকালের একটা ঘটনা শেয়ার করি আপনার সাথে।
লুতফুজ্জামান বাবর সাহেবের মুক্তির খবর জানানোর জন্য সকালে আম্মারে কল দিসিলাম। কথা বলার সময় আম্মা জানালো আব্বা সকালে বের হয়ে কোন কিছু না বলে কই গেছে।
আব্বাকে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করছি_ কই তুমি? আব্বা তখন উত্তর দিলো বাবর সাহেবের মুক্তি এইজন্য ঢাকার পথে রওনা হইছে। আমি তখন বল্লাম বাড়িতে কাউরে কিছু না বলে তুমি চলে গেছো। টাকা নিয়ে গেছো? আব্বা তখন উত্তর দিলো দুইশ টাকা নিয়ে গেছে।
রাশেদ ভাই আমার আব্বা কোন সময় ঢাকা যায় নাই। বাবর সাহেবের কারামুক্তি দিবস উদযাপন করতে আব্বা মাত্র দুইশ টাকা নিয়ে নেত্রকোনা থেকে ঢাকা গেছে।”
১৭ বছর বাবর কারাগারে। স্পাইক চুল মাথায় টুপি উঠেছে। ক্লিন শেইভ মুখে এখন চাপ দাঁড়ি।
পরিপাটি বাবরের শার্টের বোতাম এলোমেলো হয়ে গেছে।
অথচ, নেত্রকোনার জনগণের কাছে বাবর এখনো সেই ঘরের সন্তান হয়েই আছে।
-রি