অনলাইনঃ
করোনার ভুয়া টেস্ট রিপোর্ট দেয়া ও প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ডা. সাবরিনা নিজের এই পরিণতির জন্য স্বামী আরিফুল হকে দায়ী করেছেন।
১৫ জুলাই, বুধবার তারা দু’জন ডিবি অফিসে মুখোমুখি হলে এই মন্তব্য করেন সাবরিনা। এমনকি আরিফকে দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন সাবরিনা।
এ সময় আরিফুলকে উদ্দেশ করে সাবরিনা বলেন, তোর জন্যই আজ আমার এই অবস্থা। তুই আমাকে শেষ করে দিয়েছিস। সবকিছু করে এখন আমাকে ফাঁসিয়েছিস।
এর জাবাবে আরিফুল বলেন, সব দোষ কি আমার? তুমি তো এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলে। তুমিও জানতে সবকিছু।
এর আগে জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের (জেকেজি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফ চৌধুরীকে গতকাল আবারও চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য অনুমতি দেয় আদালত। ঢাকার মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান এই আদেশ দেন। এর আগে গত ১৩ জুলাই জেকেজির চেয়ারম্যান ও আরিফ চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার দুপুরে ডা. সাবরিনা গ্রেপ্তার করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি হারুন অর রশীদ।
সম্প্রতি জেকেজি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে বিশদ তদন্ত করতে গিয়েই উঠে আসে ডা. সাবরিনা ও তার প্রতারক স্বামী আরিফ চৌধুরীর নাম।
জেকেজির ব্যাপারে তদন্ত করে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কোনো পরীক্ষা না করেই প্রতিষ্ঠানটি ১৫ হাজার ৪৬০ জনকে করোনার টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট সরবরাহ করেছে। একটি ল্যাপটপ থেকে গুলশানে তাদের অফিসের ১৫ তলার ফ্লোর থেকে এই মনগড়া করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদন তৈরি করে হাজার হাজার মানুষের মেইলে পাঠায় তারা।
প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় থেকে জব্দ ল্যাপটপ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর করোনা টেস্ট জালিয়াতির এমন চমকপ্রদ তথ্য মেলে। এতে দেখা গেছে, টেস্টের জন্য জনপ্রতি নেওয়া হয় সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা। বিদেশি নাগরিকদের কাছে জনপ্রতি একশ’ ডলার। এ হিসাবে করোনার টেস্ট বাণিজ্য করে জেকেজি হাতিয়ে নিয়েছে সাত কোটি ৭০ লাখ টাকা।
-ডিকে