সাইবার সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জ অ্যাক্টিভেশন অনুষ্ঠিত

তথ্য প্রযুক্তিঃ
দক্ষ সাইবার নিরাপত্তা কর্মী খুঁজে বের করতে অ্যাট বাংলাদেশ-এর আয়োজনে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো শুরু হয়েছে ‘ ক্যাসপারস্কি সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জ ২০১৯’ শীর্ষক প্রতিযোগিতা।

আজ ১৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদ কনফারেন্স হলে প্রতিযোগিতাটির অ্যাক্টিভেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টিভেশন পর্বে সহযোগী হিসেবে ছিল ডাকসু। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনের পর ‘সাইবার সিকিউরিটি ফর স্টুডেন্ট’ বিষয়ে সচেতনাতমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনের মাধ্যমে সাইবার অঙ্গনে নিরাপত্তা এবং ক্যারিয়ার বিষয়ে ক্যাসপারস্কি বাংলাদেশ প্রধান মিরসাদ হোসেন বলেন, ২০২২ সাল নাগাদ সাইবার সিকিউরিটিতে ১৩৩ বিলিয়ন ডলারের বাজার তৈরি হবে। এর একটি বড় অংশীদার আমরাও হতে পারি। এজন্য আমাদের তরুণদের প্রস্তুত হতে হবে।

আমরা যদি দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে পারি তবে এ খাতে দারুন সুযোগ তৈরি হতে পারে। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য ক্রিয়েটিভ আইটির পক্ষ থেকে বিনামূল্যে তিনদিনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে বলে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মনির হোসেন জানান।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ডাকসুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. আরিফ ইবনে আলী। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইভ্যালির জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অ্যাট বাংলাদেশ এর সিকিউরিটি লীড মাহমুদুল হাসান শাওন প্রমুখ।

দ্য আলটিমেট সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট’ স্লোগানে প্রতিযোগিতার টাইটেল স্পন্সর ক্যাসপারস্কি এবং পাওয়ার্ড বাই স্পন্সর ওয়ালটন কম্পিউটার। গোল্ড স্পন্সর ইভ্যালি।

এছাড়া কো-স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ক্রিয়েটিভ আইটি, আইসিসি কমিউনিকেশন লিমিটেড এবং এসসিএসএল।

আয়োজক অ্যাট বাংলাদেশের সিকিউরিটি হেড মাহমুদুল হাসান শাওন জানান, গত ১০ ডিসেম্বর থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে শুরু হয়েছে অ্যাক্টিভেশন প্রোগ্রাম। ইতিমধ্যে রাজশাহী, রংপুর, কুমিল্লা ও ঢাকার ১০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে এবং ১০০টিরও বেশি দল ইতিমধ্যে নিবন্ধন করেছে। প্রতিযোগিতাটিতে শিক্ষার্থীরা আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিনামূল্যে নিবন্ধন করতে পারবে। ২৬ ডিসেম্বর অনলাইনে বাছাই পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিতরা ২৮ ডিসেম্বর ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।

এ অনুষ্ঠানে সহযোগী হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। প্রতিযোগিতার স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে বেসিস, আইএসপিএবি এবং বাক্য। প্রতিযোগিতার মিডিয়া সহযোগী কনসিটো পিআর।

প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দলের প্রত্যেকের জন্য ল্যাপটপ, প্রথম রানার্স আপ দলের জন্য স্মার্টফোন এবং দ্বিতীয় রানার্স আপ দলের জন্য পুরস্কার হিসেবে ট্যাবলেট পিসি দেওয়া হবে। পাশাপাশি থাকবে ক্রেস্ট এবং সনদপত্র দেওয়া হবে। বিজয়ী নারী দলের জন্য থাকবে বিশেষ সম্মাননা।

এছাড়া বিজয়ী দলগুলোর সদস্যরা দেশের শীর্ষ আইটি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন করার সুযোগ পাবে। দেশের পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া ক্যাসপারস্কি বাগ বাউন্টি প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে রয়েছে এক লাখ ডলার জেতার সুযোগ।

-শিশির

FacebookTwitter