অনলাইনঃ

সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে এসে বেড়েছে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর সড়কে যানবাহনের বেশ চাপ লক্ষ্য করা গেছে। পাশাপাশি মানুষকেও প্রথমদিনের চেয়ে বেশি ঘরের বাইরে বের হতে দেখা গেছে।

রাজধানীতে ঢোকা ও রাজধানী থেকে বের হওয়ার স্থান যেমন গাবতলী, আমিনবাজার, আব্দুল্লাহপুর, যাত্রাবাড়িতে অনেক জনসমাগম দেখা গেছে। যদিও পুলিশের তরফ থেকে ঘরের বাইরে আসা যানবাহন ও মানুষদের কঠোর জেরার মুখে পড়তে হয়েছে।

রাজধানী ঢাকায় লকডাউন প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন তুলনামূলক শিথিল হতে দেখা গেছে। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ রাখা হলেও পুলিশ চেকপোস্টগুলো প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন কিছুটা নমনীয় ছিলো। অনেক জায়গাতেই কর্মজীবী মানুষ শুধুমাত্র পরিচয়পত্র দেখিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। যেখানে গতকাল মুভমেন্ট পাস ছাড়া একেবারেই যেতে দেওয়া হয়নি।

একজন ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, প্রথমদিন মুভমেন্ট পাস ছাড়া একেবারেই যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। তবে আজ কিছুটা শিথিলভাব দেখছি। গাড়ির চাপ বেশি থাকায় পুলিশ চেকপোস্টগুলোর সামনে বেশ যানজটও ছিল।

বড় রাস্তায় নিয়ম মানা হলেও পুলিশ না থাকায় পাড়া-মহল্লায় মানুষের মাঝে লকডাউন না মানার প্রবণতা বেশি। সেখানে অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মাস্ক ছাড়াই বাইরে যাচ্ছেন, ঘুরাফেরা করছেন।

তবে গার্মেন্টসহ অন্য শিল্পকারখানা, জরুরি সেবার কর্মী, ব্যাংককর্মীসহ যারা কাজের জন্য বের হয়েছেন তাদের যানবাহনের অভাবে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

উল্লেখ্য করোনার ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ১৪ এপ্রিল (বুধবার) থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।

সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এ সময় জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কথা বলা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে শিল্প কলকারখানা।

১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এ লকডাউন চলবে।

-কেএম

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily