অনলাইনঃ
শারীরিকভাবে অসুস্থ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সব সম্পতি ট্রাস্টের নামে দান করে দিয়েছেন।
এর জন্য তিনি পাঁচ জনকে সদস্য করে একটি ট্রাস্টি বোর্ডও গঠন করে দিয়েছেন। রবিবার বিকাল সোয়া ৪টায় এ ট্রাস্ট গঠন করা হয়।
ট্রাস্টি গঠনের সময় উপস্থিত থাকা জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সাল চিশতি এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এরশাদ নিজেও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে রয়েছেন। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন: এরশাদের ছেলে এরিক এরশাদ, একান্ত সচিব মেজর (অব.) খালেদ আক্তার, চাচাতো ভাই মুকুল ও তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
তবে ৯০ বছর বয়সী সাবেক এই সামরিক শাসক তার ট্রাস্টি বোর্ডে রাখেননি স্ত্রী রওশন এরশাদ ও ভাই জিএম কাদেরকে।
জাতীয় নির্বাচনের সময় এরশাদ ইসিতে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন তাতে তিনি বার্ষিক এক কোটি আট লাখ টাকা আয়ের কথা জানিয়েছিলেন। সম্পদের বিবরণীতে তিনি আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার, অনির্ধারিত ব্যবসা, বিভিন্ন কোম্পানি থেকে বেতন, সম্মানীর কথা উল্লেখ করেছেন।
এছাড়াও রাজধানীর গুলশান ও বনানীতে সর্বশেষ তিনি দুটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন যার মূল্য যথাক্রমে ৬ কোটি ২০ লাখ ও ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
ইউনিয়ন ব্যাংকে এরশাদের ঋণ রয়েছে ৫৬ লাখ টাকা। তিনি নিজেও এই ব্যাংকের একজন পরিচালক। ব্যাংকটি থেকে তিনি বার্ষিক ৭৪ লাখ টাকা বেতন হিসেবে পান।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক দিনের জন্যও দলীয় প্রচারণায় অংশ নেননি এরশাদ। নতুন পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশনের ২৬ দিনের মধ্যে মাত্র একদিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
-ডিকে