মিলি সুলতানা, কুইন্স, নিউইয়র্ক থেকেঃ
দাদীমা জেনিস মিনেসোটার মেনোর্স কাউন্টির র্যাপিড রিকভারি সেন্টারে আছেন। এদিকে জেনিসের নাতনি শাওনা ভার্নার বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হচ্ছেন।
দাদীর স্বপ্ন বিশেষ এইদিনে প্রিয় নাতনিকে বিয়ের পোশাকে স্বচক্ষে দেখবেন। কিন্তু করোনা গাইডলাইনের কারণে সেটা সম্ভব নয়। তাই হেলথ কেয়ার ফ্যাসিলিটিজ ব্যতিক্রমী একটি উদ্যোগ নিলেন।
সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের প্রশ্ন না থাকলে সিনিয়র সিটিজেন জেনিস তার নাতনির বিয়ের অনুষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারতেন।
জেনিসের বিষন্ন মন। কি করা যায়? রিকভারি সেন্টারের কর্তৃপক্ষ একটু ক্রিয়েটিভিটির আশ্রয় নিলেন। বিয়ের সাজে সজ্জিত হয়ে বর কনে হাজির হয় রিকভারি সেন্টারের সামনে। কাঁচের প্রাচীরের ভেতর থেকে জেনিস দেখলেন নাতনি এবং হবু নাতজামাইকে। তাঁরা পরস্পরের স্পর্শ নিলেন কাঁচের দেয়ালে হাত বুলিয়ে।
দাদী নাতনি চুমু খেলেন পরস্পরকে, আবেগে কাঁদলেন। শাওনা তার দাদীকে বললেন,”You get to see us first. I’m so happy for that…….!”
হেলথ সেন্টার কর্তৃপক্ষ জেনিসের জন্য নীল রঙের চমৎকার আউটফিটের ব্যবস্থা করলেন। জেনিসকে সুন্দরভাবে ড্রেসড আপ করা হল। হাতে ধরিয়ে দেয়া হল একটি সাদা গোলাপ। নাতনির সাথে সাক্ষাতের মুহূর্তকে তাঁরা ভিডিও করলেন। “জেনিসের জন্য দিনটা অত্যন্ত স্পেশাল। আমরা চেয়েছি তিনি যেন সামান্যতম অনুভূতিটুকু অন্তত হৃদয়ে ধারণ করতে পারেন। খুশি থাকতে পারেন।
এটা জেনিসের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে ছোট্ট উপহার”—- বললেন হেলথ সেন্টারের পরিচালক। মানবতার কত সুন্দর সুন্দর রুপ আছে। সবাই পারেনা এমন অপূর্ব মানবিক রুপের আবিস্কার করতে।
-শিশির