শিক্ষাঃ
বাংলা নববর্ষের ১৪ দিন পার হলেও এখনো নববর্ষের ভাতা পাননি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) কর্মরত আড়াই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।
অন্যান্য সরকারি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ২৭ এপ্রিল বেতন পেলেও চলতি মাসের বেতন হওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছেন তারা।
সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে এনসিটিবির সচিব কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এ সংকট তৈরি হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন।
যদিও সচিব কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে এনসিটিবির সচিব প্রফেসর ড. মো. নিজামুল করিম বলেন, আমি বর্তমানে কর্মস্থলে আছি।
এনসিটিবির কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার ২৫ মার্চ সরকারি ও বেসরকারি অফিস ছুটি ঘোষণা করে। তবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা জারি করে। নির্দেশনা উপেক্ষা করে এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) প্রফেসর মশিউজ্জামান ও সচিব প্রফেসর ড. মো. নিজামুল করিম কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
এনসিটিবির কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান ও সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে প্রতিষ্ঠানের সব অর্থ ছাড় হয়। এনসিটিবির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ১ দিনের বেতন (১ কোটি টাকা) প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দিতে সচিবের কুমিলস্নার বাড়িতে গাড়ি দিয়ে লোক পাঠিয়ে স্বাক্ষর আনা হয়েছে বলে বিষেশ সূত্রে জানা গেছে। এটি চরম অন্যায়।
সচিব কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় বৈশাখী ভাতাও এখন পর্যন্ত কেউ পাননি। তারা আরও অভিযোগ করেন, সরকারি সব অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ২৭ এপ্রিল বেতন পেয়েছেন। কিন্তু সচিব কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এনসিটিবির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এপ্রিল মাসের বেতন নির্ধারিত সময়ে পাবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
তবে এনসিটিবি চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা গমাধ্যমকে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বেতন ছাড়ের সব কার্যক্রম শেষ করা হবে। বেতন নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবে না। চেকে সই করতে সচিবের বাড়িতে লোক পাঠানো হয়েছে। এপ্রিল মাসের বেতনের সাথে বৈশাখী ভাতাও পেয়ে যাবে। ২ কর্মকর্তার অনুপস্থিতির বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে সচিব ও কয়েকজন কর্মকর্তার কর্মস্থলে অনুপস্থিতির ফলে আগামী শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই ছাপানো এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের এনসিটিবি তিনটি বই ছাপানোর কাজও আটকে গেছে ।
-এফকে