লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
আয়শা সিদ্দিকা, খাদ্য ও পুষ্টিবিদঃ
Breakfast is a big deal,LOVE it!
ব্রেকফাস্ট না করার অভ্যাসে ,ক্ষুধার্ত হওয়ার পর, শরীরে প্রচুর পরিমান খাবার চাহিদা বৃদ্ধি পায় ,ফলাফল অনিয়ন্ত্রিত ওবেসিটি।
আমাদেরকে প্রাণবন্ত ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে সকালের নাস্তা তাই সকালের নাস্তা না করার প্রবণতায় লুকিয়ে আছে মারাত্মক বিপদ। ওজন কমানো বা ফিট থাকার বদলে ব্রেকফাস্ট বাদ দেয়ায় আমাদের শরীরে আমন্ত্রিত হতে পারে নানা অভিষঙ্গ।
ব্রেকফাস্ট আমাদের শরীরের মেটাবলিক কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে তাই ব্রেকফাস্ট না করার অভ্যাস শরীরে মেদ জমা বা ওবেসিটির প্রধান কারণ।ডাইজেস্টিভ সিস্টেমও ঠিকঠাক কাজে করতে চায় না।
স্বাস্থ্যকর নাস্তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। যারা সকালের নাস্তা এড়িয়ে যান তাদের উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় এবং ধমনীতে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্থ হয়। এর ফলশ্রুতিতে স্ট্রোকও হতে পারে।
রাতে আমাদের ব্লাড শুগারের লেভেল কমে যায়,এই লো ব্লাড শুগারের জন্যেই সকালে আমরা ‘লো’ ফিল করি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই এমন খাবার খেতে হবে, যাতে ব্লাড শুগার লেভেল বেড়ে যায়।
চা-কফিতে স্টিমিউলেন্ট থাকে, তাই ব্লাড শুগার লেভেল বাড়াতে তারা সক্ষম আর ঘুম থেকে ওঠার পর চা বা কফি যদিও আমাদের শরীরের দুর্বল কোষে শুগার পৌঁছে দেয়, কিন্তু পুষ্টির কোনও জোগান দেয় না। ফলে শরীরে ক্যালরি ডেফিসিট তৈরি হয়। আর এই ডেফিসিট পূরণ করতে পরে আমরা বেশি খেয়ে ফেলি। রেজ়াল্ট এক্সেস ওয়েট। তাই ৯-১০ ঘণ্টা খালি পেট থাকার পর তার চাই সঠিক খাবার, মানে প্রপার ব্রেকফাস্ট। সকালে উঠে কিছু না খেলে মেটাবলিক রেট কমে যায়।
শরীরের একটা নিজস্ব সিস্টেম আছে। যাতে আমরা অসুস্থ না হয়ে পড়ি, তার জন্যে লিন টিস্যু ব্রেকডাউন করে গ্লুকোজ়ে পরিণত হয়। ওজন কমানোর জন্যে এই ব্যপারটাও মোটেও ভাল নয়। ওজন তখনই দ্রুতগতিতে কমবে যখন আমরা লিন টিস্যু প্রিজ়ার্ভ করতে পারব।
স্ট্রেস শরীরের সবচেয়ে বড় শত্রু। স্ট্রেসের কারণে ‘ডাইজেশন’ থেকে শুরুর করে শরীরের ‘ফ্যাট বার্নিং প্রসেস’ সবই ঝিমিয়ে পড়ে। সকালে হার্ট রেটে আর ব্রিদিং রেট সবচেয়ে কম থাকে, তাই আমাদের মন মেজাজও প্রশান্ত থাকে। তাই শরীরকে ঝাঁকুনি দিয়ে তোলার কোনও মানেই হয় না। সেইজন্যে এমন খাবার খান যা পুষ্টি যোগায়, কিন্তু শরীরের ক্ষতি করে না।
ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। ক্যালসিয়াম আমাদের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি। ব্রেকফাস্ট আমাদের শরীরের ফ্যাট বার্নিং এনার্জি বাড়ায়, রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।
সকালের নাস্তা না খেলে চিনি ও চর্বি যুক্ত খাদ্য গ্রহণের উৎসাহ বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে তীব্র ক্ষুধা পায় বলে সারাদিনে আপনি যাই পান তাই খেতে থাকেন। ক্ষুধা যত বৃদ্ধি পাবে খাদ্য গ্রহণের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। যা আপনার প্রতিদিনের ক্যালরি গ্রহণের মাত্রাও ছাড়িয়ে যায়। তাই নিয়মিত সকালের নাস্তা বাদ দিলে ওজন কমার বদলে ওজন বৃদ্ধিই পাবে।
সকালের নাস্তা বাদ দেয়ার নেগেটিভ প্রভাব পড়বে আপনার মুডে। আপনি খিটখিটে হয়ে উঠবেন। আপনার এনার্জিতে ঘাটতি হবে। অবসাদ ঘিরে ধরবে। কমে আসবে স্মৃতিশক্তি এবং শারীরিক কর্মক্ষমতার স্তর ও কমতে থাকে। ফলে হতে পারে মাইগ্রেন। সেইসঙ্গে আপনার শরীরে পানির ঘাটতি ঘটতে পারে।…… #### Have a nice morning with healthy breakfast… Aysha Siddika (Diet and Nutrition consultant).
–এসএম