অনলাইন ডেস্কঃ
প্রেসিডেন্টের অনুমোদন না নিয়েই সড়ক পরিবহন বিল ২০১৮ সংসদে পাঠিয়ে দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
পরে সংসদ সচিবালয় থেকে প্রেসিডেন্টের অনুমোদন নিয়ে বিলটি নতুন করে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, এটা আসলে বড় ধরণের কোন ত্রুটি নই।
যে কোন বিল সংসদ সচিবালয়ে আসলে তা যাচাই-বাছাই করা হয়। কোন ত্রুটি আছে কি না তা দেখা হয়। সংসদ অধিবেশনের আগে এটা করা হয়। ভুলটি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। তাই বিষয়টা তাদেরকে বলা হয়েছে।
এখন প্রেসিডেন্টের সম্মতি নিয়ে এটা সংসদ সচিবালয়ে পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, যে কোন বিল সংসদ সচিবালয়ে সঠিক আইন মেনে এসেছে কি না তা সব সময় খতিয়ে দেখা হয়। সেটা দেখতে গিয়ে ওই ত্রুটি ধরা পড়ে।
সংবিধান অনুযায়ী, কোনো বিল আইনে পরিণত হলে তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয়ের সম্ভাবনা থাকলে সেই বিল সংসদে উত্থাপনের আগে প্রেসিডেন্টের অনুমোদন নিতে হয়। সংসদ সচিবালয়ের আইন শাখা পর্যালোচনা করে দেখেছে যে, সড়ক পরিবহন বিলের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
বিষয়টি তারা মৌখিকভাবে মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে এবং নতুন করে বিলের নোটিশ পাঠাতে বলেছে। আইন অনুযায়ী প্রস্তাবিত কোনো আইন সংসদে উত্থাপনের আগে আইন মন্ত্রণালয় তা যাচাই-বাছাই করে থাকে। আইনে কোনো ধরনের ত্রুটি থাকলে তারা তা শুধরে দেয়।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংসদের অধিবেশন বসছে এবং এটিই হতে পারে এই সংসদের শেষ অধিবেশন। কারণ নভেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, এই অধিবেশনে পাসের জন্য এখন পর্যন্ত তাদের কাছে ২১টি বিল রয়েছে। শেষ অধিবেশন বিবেচনা করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে আরও বেশ কয়েকটি বিল আসতে পারে। ২১টি বিলের মধ্যে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ শেষে পাসের অপেক্ষায় আছে তিনটি বিল।
নয়টি বিল যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংসদীয় কমিটিতে আছে। বাকি নয়টি বিল আছে উত্থাপনের অপেক্ষায়। সংসদ অধিবেশনের মেয়াদ প্রসঙ্গে স্পিকার বলেন, অধিবেশন শুরুর আগে কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সময় নির্ধারণ করা হবে।
–ডিকে