সারাদেশঃ
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সংখ্যালঘু নোয়াগাঁও গ্রামে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হক সমর্থকদের হামলা লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনায় থানায় বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) দুটি পৃথক মামলা হয়েছে।

একটি মামলার বাদী শাল্লা থানার এসআই আব্দুল করিম। অন্য মামলার বাদী স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল।

মামলায় আসামি করা হয়েছে দিরাই থানার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চন্দ্রপুর ও নাচনী এবং শাল্লা থানার হবিবপুর কাশিপুর গ্রামের ১৫০০ জনকে।

মামলার প্রধান আসামি করা হয়ছে, ঘটনার উস্কানীদাতা নাচনী গ্রামের বাসিন্দা সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য স্বাধীন মিয়াকে।

পুলিশ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ২০/২৫ জনকে আটক করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে শাল্লা থানার ওসি নাজমুল হক জানিয়েছেন, ২২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করার অভিযান চলছে।
অভিযান পরিচালনার স্বার্থে আটককৃতদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।

পুলিশ জানায়, গ্রামবাসীর পক্ষে দায়ের করা মামলার বাদী হয়েছেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল। এই মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০০ জন আসামির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।

শাল্লা থানার ওসি নাজমুল হক জানান, পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলার বাদী সাবইন্সপেক্টর আব্দুল করিম। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে এবং গ্রামবাসীর পক্ষে আরেকটি মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ ও অনেককে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে র‍্যাবের মহাপরিচালক শাল্লার সন্তান চৌধুরী আব্দুল্লাহ্ আল মামুন ক্ষতিগ্রস্ত নোয়াগাঁও গ্রাম পরিদর্শন ও প্রেসব্রিফিং করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শান্তি ও গ্রামবাসীকে নিরাপদে বসবাসের আশ্বাস দিয়েছেন। তার নির্দেশে গ্রামে অস্থায়ী র‍্যাব ও পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলনের নেতা মাওলানা মামুনুল হকের সমর্থকরা ১৭ মার্চ বুধবার নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮ টি বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর করেছে। এসময় গ্রামের ৫ টি মন্দির ভাংচুর করা হয়।

আরও পড়ুন:

নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামের এক তরুণের ফেসবুক আইডি থেকে মাওলানা মামনুল হককে কটাক্ষ করে কথিত স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার সকাল ৯ টায় এই তাণ্ডব চালানো হয়। এর আগে ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাই স্টেডিয়ামে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বক্তব্য দেন। এসময় ধর্মীয় উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন মামুনুল হকসহ হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা।

-কেএম

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily