স্পোর্টসঃ
স্বাগতিক বাহরাইন আর প্যালেস্টাইনের বিপক্ষে যে খেলাটা খেলেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল, তাতেই চড়েছে প্রত্যাশার পারদ। কঠিন দুই প্রতিপক্ষের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ, কিন্তু দারুণভাবে জানান দিয়েছে সামর্থ্যের। মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে লাল-সবুজ সমর্থকদের দারুণ এক জয়ও উপহার দিল মাসুক মিয়া জনির দল!
এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপে কঠিন গ্রুপে থেকে বাছাইপর্বের বাঁধা পেরনো হয়নি বাংলাদেশের। তবে দেশে ফেরার আগে খালি হাতে ফিরছে না লাল-সবুজরা। গ্রুপ ‘বি’তে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২-০ গোলে হারিয়ে আক্ষেপ মাখানো তৃপ্তি দেয়া এক সফর শেষ করছে জেমি ডের দল।
ভবিষ্যতে রেকর্ড বলবে বাহরাইন ও প্যালেস্টাইনের কাছে দুই ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। কিন্তু তাতে লেখা থাকবে না র্যাঙ্কিংয়ে যোজন যোজন এগিয়ে থাকা এ দুই দলের বিপরীতে কী অসাধারণ খেলেছেন বাংলাদেশের ফুটবলের ভবিষ্যতের নক্ষত্ররা। এরপরও আফসোস থেকেই যাচ্ছে, আরেকটু ভালো খেললে ওই দুম্যাচে হয়তো বিজয়ী দলটার জায়গায় বাংলাদেশের নামটাই লেখা থাকতো!
রক্ষণ ছিল দুর্দান্ত। বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে ফরোয়ার্ডদের সুযোগগুলোকে গোলে রূপান্তর করতে না পারার সামর্থ্যের অভাব। শ্রীলঙ্কা ম্যাচেও এ অভাবটা আরও একবার জ্বালিয়েছে লাল-সবুজদের। ৫ মিনিটে বিপলু আহমেদ বিপলু ও ১৮ মিনিটে টুটুল বাদশার গোল, বড় কোনো জয়েরই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু সেই ব্যবধানটা পরে আর বাড়েনি। যে শ্রীলঙ্কা আগের দুই ম্যাচে ১৮ গোল হজম করেছে, তাদের বিপক্ষে ২ গোলের ব্যবধানে জয়টা খানিকটা আক্ষেপই বাড়াচ্ছে।
বড় কিংবা অল্প ব্যবধানেই হোক, দিন শেষে জয় পাওয়াটাই স্বস্তির। একটা ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই শেষপর্যন্ত দেশে ফিরবেন বাংলাদেশের তরুণরা, সফর থেকে অন্তত এটাই প্রাপ্তির। সুযোগগুলোকে যদি ভবিষ্যতে কাজে লাগানো যায়, হয়তো পরেরবার খালি হাতে নাও ফিরতে হতে পারে যুবাদের!