ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজই ছিল চলতি পঞ্জিকা বর্ষে বাংলাদেশের শেষ সিরিজ। সেই সিরিজের শেষ ম্যাচে ৫০ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল। এতে বছরের শেষ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরে গেল স্বাগতিকরা।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৯১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। দলীয় ২২ রানের মাথায় তামিম রান আউট হলেও সৌম্যকে নিয়ে ভালোই খেলছিলেন লিটন দাস। তবে দলীয় ৬৫ রানে সৌম্য আউট হওয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। দলীয় স্কোরে কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই ফিরে যান সাকিব। আর এক রান যোগ হতেই ফিরেন মুশফিকও।
এরপর ৯৬ রানের মধ্যে আরো চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ। একে একে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ, লিটন দাস, আরিফুল হক ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। এর মধ্যে লিটন ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন। নবম উইকেটে মিরাজ ও আবু হায়দার রনি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ১২৯ রানে মিরাজ (১৯) আউট হলে সেই প্রতিরোধ ভাঙে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মুস্তাফিজ আউট হন। তাই ১৪০ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। আবু হায়দার রনি ২২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করে ১৯.৪ ওভারে ১৯০ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের পক্ষে ৩৬ বল থেকে ৬টি চার ও ৮টি ছক্কার মারে ৮৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন এভিন লুইস। এর মধ্যে ১৮ রানেই হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করন তিনি। মাত্র ৪.৫ ওভারে ৭২ রানে ভেঙেছিল ওপেনিং জুটি। আর অষ্টম ওভারেই দলটি শত রান পেরিয়ে যায়। তবে লুইস আউট হওয়ার পর রানের সেই গতি আর থাকেনি। যে কারণে ১৯০ রানের মধ্যেই থামতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে নিকোলাস পুরান ২৯ ও শাই হোপ করেন ২৩ রান। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও মাহমুদউল্লাহ তিনটি করে উইকেট।
চলতি সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়। ওয়ানডে সিরিজে সফরকারীরা হারে ২-১ ব্যবধানে। আর টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানের জয় দিয়ে শেষটা তারা রাঙিয়েই বিদায় নিল বাংলাদেশ থেকে।