রাজনীতিঃ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, জাতিকে বিভ্রান্ত ও জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চলছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমান দু’জনই শ্রদ্ধেয় নেতা।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমান শ্রদ্ধেয় নেতা, তাদের নিয়ে নোংরা কথা বলা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ।
আজ শনিবার রাজধানীতে দলের পক্ষে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্যই জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও সমাধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচার করেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কখন কী বক্তব্য দেন, কেন দেন এটা এখন পর্যন্ত ঠিক আমাদের বোধগম্য হয়নি। নিশ্চয়ই মনে আছে যে, ওনারা (আওয়ামী লীগ) যখন বিরোধী দলে ছিলেন, তখন কোর্ট একটা কমেন্ট করেছিলেন এবং উনি গতকাল যে বক্তব্য বা উক্তিগুলো করেছেন তা কোনো রুচিবান মানুষ করতে পারে বলে আমি মনে করি না। এটা আমার কাছে মনে হয়েছে রুচিহীন মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু নয়। এগুলো মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। দাফন হয়েছে, লাখ-লাখ মানুষ সেই জানাজায় শরিক হয়েছে।
সাবেক সেনা অধিনায়ক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নিজেই তার (জিয়াউর রহমানের) বডি কেরি করেছেন। এটা ওপেন ক্লিয়ার,এর চাইতে বড় সত্য তো আর কিছু হতে পারে না।
কফিনে যে জিয়ার লাশ ছিলো তা তো দেখাতে পারেননিঃ কাদের
প্রসঙ্গত, দুইদিন আগে এক দলীয় সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
জিয়া কোথায় যুদ্ধ করেছেন সেই প্রমাণ নেই বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবর নেই বলেও মন্তব্য করেন।
-ডিকে