কূটনৈতিক সংবাদঃ
যুক্তরাষ্ট্রে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের শুধু সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য ভ্রমণ ঠেকাতে নতুন কিছু নিয়ম চালু করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। এই নতুন নীতি শুক্রবার থেকে কার্যকর হচ্ছে।
বিবিসি বলছে, নতুন এই নিয়মে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী যদি যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ভিসার জন্য আবেদন করেন, তাহলে তাকে এটা প্রমাণ দিতে হতে পারে যে, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সন্তান জন্ম দেওয়া ছাড়া তার ভ্রমণের নির্দিষ্ট অন্য কারণ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী প্রায় সব শিশু দেশটির নাগরিকত্ব পায়। যে আইনের সমালোচনা করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নতুন নিয়মটিতে কি কি আছে
বি ভিসা প্রত্যাশী ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রে এই নতুন নিয়মটি প্রযোজ্য হবে, যা অনভিবাসীদের জন্য জারি করা হয়েছে।
কোন ব্যক্তির যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের প্রাথমিক উদ্দেশ্য যদি সেখানকার কাগজপত্র পাওয়ার আশায় সন্তান জন্ম দেওয়া হয়, তাহলে কনস্যুলার কর্মকর্তারা তাদের ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে। নতুন এই বিধিতে কনস্যুলার কর্মকর্তাদের এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
নীতিতে আরো বলা হয়েছে, বার্থ ট্যুরিজম শিল্প জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে। চিকিত্সার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে ইচ্ছুকদের জন্যও এটি বিধির নিয়মগুলোকে আরো কড়া করা হয়েছে। ভিসা আবেদনকারীদের এখন প্রমাণ করতে হবে যে, তাদের চিকিত্সা ব্যয় বহন করার উপায় এবং উদ্দেশ্য আছে এবং একজন কনস্যুলার কর্মকর্তাকে বোঝাতে হবে যে-তাকে চিকিত্সা দেওয়ার জন্য ইচ্ছুক এমন একজন ডাক্তারের ব্যবস্থাও তিনি করে রেখেছেন।
হোয়াইট হাউস নতুন এই বিধিমালার প্রশংসা করেছে। প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারি স্টেফানি গ্রিশাম এক বিবৃতিতে বলেছেন, বার্থ ট্যুরিজম শিল্প হাসপাতালের ওপর বড় ধরণের চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং এই শিল্পকে ঘিরে অনেক অপরাধ হচ্ছে। এই চমকপ্রদ অভিবাসনের ফাঁকফোকর বন্ধ করে দিলে স্থানীয়দের মধ্যে বাড়তে থাকা ক্ষোভ প্রশমন করা যাবে এবং এই আইনের চর্চার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সুরক্ষা যে ঝুঁকির মুখে পড়েছিল সেখান থেকে দেশকে রক্ষা করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আসা মানুষেরা প্রতিবছর কতজন শিশু জন্ম দেয় তার কোনো রেকর্ড নেই, তবে বিভিন্ন সংস্থা একটি আনুমানিক হিসাব দিয়েছে। ইউএস সেন্টারর্স ফর ডিজিজেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের সবশেষ তথ্য অনুসারে, বিদেশি বাসিন্দারা ২০১৭ সালে প্রায় ১০ হাজার শিশুর জন্ম দিয়েছিল। এই সংখ্যাটি ২০০৭ সালের তুলনায় ৭৮০০ জন বেশি।
-কেএম