বিনোদন ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দুই মাস ধরে ভারতে চলছে লকডাউন। সমগ্র দেশের পাশাপাশি হিন্দি ছায়াছবি এবং টেলিভিশন দুনিয়ার অর্থনীতি প্রায় তলানিতে এসে পৌঁছেছে। আর্থিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য ধীরে ধীরে মূল স্রোতে ফিরে আসতে মরিয়া মুম্বাইয়ের বিনোদন দুনিয়ার নির্মাতাসহ সবাই। এমনকি অক্ষয় কুমারও তার আগামী ছবির প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করলেন এই করোনাকালেই।
বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে হিন্দি ছবির পোস্ট প্রোডাকশনের বেশ কিছু কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ধারাবাহিকগুলোর শুটিংয়ের জন্য বিকল্প পথও খুঁজে বের করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরে শুটিংয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। কারণ, এই অঞ্চলে করোনার সংক্রমণ খুবই কম। এদিকে মুম্বাইয়ের সুরক্ষিত এলাকা কমালিস্থানের স্টুডিওতে শুটিং শুরু হয়েছে।
এমনকি বলিউড সুপারস্টার অক্ষয় কুমার তার আগামী ছবির চিত্রনাট্যের শেষ পর্যায়ের কাজ শুরু করলেন। ছবির নির্মাতা বাসু ভগনানিসহ দলের আরও অনেকে এই সেশনে হাজির ছিলেন। অক্ষয় এক বিজ্ঞাপনের শুটিং করে সমগ্র ইন্ডাস্ট্রিকে বার্তা দিলেন যে করোনাকে সঙ্গে নিয়েই এগোতে হবে। পাশাপাশি তিনি বললেন সাবধানতার সঙ্গে আবার শুটিং শুরু করতে হবে। গত বছর নভেম্বর মাসে ‘বেল বটম’ ছবির ঘোষণা করা হয়েছিল। আর তখনই অক্ষয় স্পষ্ট করেন যে এটা কোনো ছবির রিমেক নয়।
হিন্দি ছায়াছবি ও টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির একটা বড় অংশ খুব শিগগির ছবি এবং ধারাবাহিকের শুটিং শুরু করতে চায়। তবে এখন পর্যন্ত নির্মাতা-নির্দেশকদের ইউনিয়ন আর কর্মীদের ইউনিয়ন যুগ্মভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। প্রচুর নির্মাতা তাদের ছবির শুটিং মহারাষ্ট্রের বাইরে অন্য কোনো রাজ্যের কম জনবহুল অঞ্চলে করতে চান। আপাতত মুম্বাইয়ে শুটিং শুরু করলেও কিছু নির্মাতা কোলহাপুর ফিল্ম সিটিকে আবার পুনরুজ্জীবিত করতে চান। এ বিষয়ে তাঁরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে। করোনা সংক্রমণের দিক থেকে কোলহাপুরের পরিস্থিতি বেশ ভালো। টেলিভিশন ধারাবাহিকের নির্মাতারা কোলহাপুরে নির্মিত সেটের পার্শ্ববর্তী এলাকা পরিদর্শন করে এসেছেন। আশা করা যাচ্ছে, আগামী মাস থেকে শুটিং শুরু হয়ে যাবে এই ফিল্ম সিটিতে।
-এফকে