আইন আদালতঃ
খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলমের জামিন আবেদন শুনতে বিব্রত বোধ করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বিচারপতি মো: রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদনটি আসামীর আইনজীবি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হলে আদালত বিষটি শুনতে বিব্রত বোধ করছেন বলে জানান।
এসময় আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ড.শাহদিন মালিক ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
এ বিষয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, আদালত জামিন আবেদনটি শুনতে বিব্রত বোধ করেন। এ সময় আমি জানতে চাই যে বিষয়টি কয়েকদিন কার্যতালিকায় থাকার পর আজ কেন বিব্রত বোধ করছেন? এ সময় আদালত বিব্রতের কারণ সম্পর্কে কিছু বলেননি।
এখন নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে এবং তিনি নতুন বেঞ্চে এই জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য পাঠাবেন।
সেই সাথে জামিন আবেদনের বিষয়টি নতুন বেঞ্চে দ্রুত শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করা হবে বলে জানান ব্যারিস্টার সারা হোসেন।
এর আগে গতকাল এই জামিনের আবেদনটি হাইকোর্টের এই বেঞ্চের কার্য তালিকায় শুনানির জন্য ছিল। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে জানান এই আবেদনের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল থাকতে চান। এ কারণে আগামীকাল পর্যন্ত সময় চান। এরপর আদালত সময় মঞ্জুর করে মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। তবে মঙ্গলবার শুনানির জন্য বিষয়টি উপস্থাপন করার সময় আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন না।
গত ৬ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। সাত দিনের রিমান্ড শেষে গত ১২ আগস্ট শহিদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারিক আদালত।
এরপর গত ১৪ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হলে ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। কিন্তু গত ১৯ আগস্ট শহিদুলের জামিন আবেদন শুনানির তারিখ এগোনোর আবেদন করা হলে তা গ্রহণ করেননি আদালত।
একই আদালতে গত ২৬ আগস্ট শহিদুল আলমের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চাইলে আদালত শুনানির জন্য তা গ্রহণ করেননি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা এই মামলায় গত ২৮ আগস্ট হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন শহিদুল আলম।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে উসকানিমূলক ও মিথ্যা প্রচারের অভিযোগে শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এই মামলা করা হয়।
-ডিকে