ব্যাবসা-বাণিজ্যঃ
লকডাউনে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস “বিক্রয় ডট কম” (Bikroy.com) গ্রাহকদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে।
সম্প্রতি, ‘কোভিড-১৯-এ অনলাইন বিজনেসের গুরুত্ব এবং বিক্রয়ের গ্রাহক সেবা’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারে মূলত বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির ওপর এই লকডাউন পরিস্থিতি কী রকম প্রভাব ফেলছে এবং বিক্রয় ডট কম গ্রাহকদের কী ধরনের সেবা দিচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি এই পরিস্থিতিতে করণীয় সম্পর্কিত গ্রাহকদের নানান ধরনের প্রশ্নেরও উত্তর দেন বিক্রয়-এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
লকডাউনে ব্যবসায় প্রসারের লক্ষ্যে বিক্রয় তাদের মেম্বারদের জন্য বেশি বেশি ভাউচার ও প্রমোশনাল টুল ব্যবহার, ডেডিকেটেড কাস্টমার সাপোর্ট, ইএমআই ইত্যাদি সুবিধা দিচ্ছে। এছাড়াও আগ্রহী ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে এবং দ্রুত বিক্রি করতে বিক্রয় থেকে মেম্বারদের বিশেষ পরামর্শও প্রদান করা হচ্ছে।
ওয়েবিনারে উপস্থিত ছিলেন বিক্রয় ডট কম-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ঈশিতা শারমিন; বিক্রয়-এর কর্পোরেট সেলস লিড সঞ্জয় বিশ্বাস; বিক্রয়-এর ভেহিকেলস লিড আফজাল এইছ সারকার; বিক্রয়-এর প্রপার্টি লিড এমদাদুল হক মবিন; বিক্রয় জবস লিড মো: সাদিক বিন হালিম; বিক্রয়-এর মার্কেটপ্লেস-এর ডেপুটি ম্যানেজার মো: আমজাদ হোসেন; এবং বিক্রয়-এর ই-কমার্স লিড শাহ্ মোঃ জাকারিয়া। ওয়েবিনারটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বিক্রয়-এর মার্কেটিং-এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ রিদয়ানুল্লাহ রেজা।
বিক্রয় ডট কম-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ঈশিতা শারমিন বলেন, “গত আট বছর ধরে আমাদের ওয়েবসাইট কেনা-বেচার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে অনেক ক্রেতা-বিক্রেতাদের মেলবন্ধনের সাক্ষী। আমাদের সাইটে মাসিক ৩৫ লক্ষেরও বেশি ব্যবহারকারী আছে যার ফলে বিজ্ঞাপন দেওয়ার খুব কম সময়ের মধ্যেই বিক্রেতারা আগ্রহী ক্রেতার সন্ধান পান। চলমান লকডাউনে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানাতে চাই যে কোভিডের কারণে কাজ কমিয়ে না দিয়ে এই রোজা এবং ঈদের মৌসুমে আপনার বিজনেস প্রসারে অনলাইনকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করুন। বিক্রয় ডট কম চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসায়ের সুবিধার্থে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন রকম টিপস দিয়ে থাকে যার মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন বলে আমি আশাবাদী।”
বিক্রয়-এর মার্কেটপ্লেস-এর ডেপুটি ম্যানেজার আমজাদ বলেন, “ট্র্যাডিশনাল মার্কেটে কোনো উপলক্ষ্য আসলে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, যা অনলাইনে হবার সুযোগ নেই। দামের তারতম্য এখানে খুব বেশি হয় না কেননা আমরা বিক্রেতাদের একটি কম্পিটিটিভ প্রাইস রাখার সাজেশন দেই যাতে তাদের পণ্য দ্রুত বিক্রি হয়। দেখা যায় অফলাইন শপে অনেকেরই দোকানে গ্রাহক সমাগম হয় না কিন্তু বিক্রয়-এ পুরো বাংলাদেশের আগ্রহী ক্রেতা-বিক্রেতার অনলাইন শপটি দেখতে পারেন।”
বিক্রয়-এর ভেহিকেলস লিড আফজাল বলেন, “মোটরবাইক ব্র্যান্ডগুলো নতুন মডেল নিয়ে আসায় এবং শীঘ্রই বেশি সিসির মোটরবাইক চালানোর অনুমোদন পাওয়ার কারণে গ্রাহকরা মোটরবাইক কেনার ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকছেন। বিক্রেতারা অফলাইন শপ বন্ধ হলেও আমাদের সাইটে অনলাইন শপের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টাই ক্রেতাদের সাথে কানেক্টেড থাকতে পারছেন।”
বিক্রয়-এর প্রপার্টি লিড মবিন বলেন, “গত বছর শুরুতে ক্যাশ ফ্লো কম থাকার কারণে বিক্রেতারা তুলনামূলক কম প্রফিট মার্জিনে সেল করেছেন। ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হওয়াতে আর দাম কমতে দেখা যায় নি। গত বছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি হয়েছে যা ২০১৯ সালের সারা বছরজুড়ে যা সেল হয় তার থেকে বেশি। এ বছর মহামারিতে প্রপার্টির দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।”
বিক্রয় জবস লিড সাদিক বলেন, “বর্তমান সময়ে ইকমার্স বিজনেসে হোম ডেলিভারি একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেদিক থেকে আমি বলবো আমাদের সাইট এন্ট্রি লেভেল ও স্কিলড জবের জন্য নাম্বার ওয়ান পোর্টাল। আমাদের চাকরির বিজ্ঞাপনগুলোর মধ্যে অন্যতম ডেলিভারি রাইডার জব।”
বিক্রয়-এর ই-কমার্স লিড জাকারিয়া বলেন, “বাংলাদেশে ৭২% রেটে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি গ্রো করছে। এর জনপ্রিয়তা এবং সম্ভাবনার কারণে অনেক বিদেশী বিনিয়োগকারী এদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হচ্ছেন। আমরা আমাদের মেম্বারদের বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ‘ডোরস্টেপ ডেলিভারি’ এর মাধ্যমে গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি।”
বিক্রয়-এর কর্পোরেট সেলস লিড সঞ্জয় বলেন, “বিক্রয় ডট কম-এ সব ভিজিটররাই বিজ্ঞাপন দেখতে আসেন। আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিটররা প্রতি মাসে প্রায় ১ কোটিরও বেশি বার রিপিটেড ভিজিট করেন।
আমাদের প্রতিমাসে প্রায় ২৫ কোটি ইম্প্রেশন জেনারেট হয়। সঠিক সময়ে একটি নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির পণ্য খুঁজতে থাকা কাস্টমারকে সহজেই টার্গেট করা যায়। অন্যান্য মিডিয়ার সাথে বিক্রয়-এর পার্থক্য হচ্ছে আমরা ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস, ডিরেক্ট টার্গেটিং ও অ্যাকশন সেল এই তিনভাবে ক্যাম্পেইন করে থাকি।”
-শিশির