ডেস্ক রিপোর্টঃ

করোনাভাইরাস আতঙ্কে বিশ্ব স্তব্ধ। অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সব কিছুই বন্ধ। এরমধ্যে চরম সংকটের মধ্যে আছে গরিব বা মধ্যবিত্তরা। কাজ বন্ধ থাকায় তাদের ঘরে টাকা নেই, খাবারও নেই। ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কায় এসব মানুষেরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থারা বিলি করছে খাবার। কিন্তু তাতেও মিলছে না সমাধান।

তবে এসবের কোনো প্রভাবই পড়েনি বিশ্বের ধনকুবেরদের জীবনযাপনে।

যেমন গত মার্চের শেষেই নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে আমেরিকার মিডিয়া মোগল ডেভিড গেফেন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের কাছে নিজের বিলাসবহুল ইয়টে ভাসতে ভাসতে সূর্যাস্তের ছবি পোস্ট করে বিশ্ববাসীর সুরক্ষার জন্য চিন্তা প্রকাশ করেছিলেন। মুহূর্তে ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে বিশ্বের গরিব মানুষদের অসহায়তা নিয়ে ধনীদের মানসিকতাকে বিদ্রুপ করে প্রতিক্রিয়ায় ভরিয়ে দেয় নেটিজেনরা।

তবে শুধু গেফেনই নয়, বিভিন্ন দেশের সরকার লকডাউন ঘোষণা করার পরই ধনকুবেররা হয় ব্যক্তিগত বিমানে তাদের বিলাসবহুল খামারবাড়ি বা সমুদ্রপাড়ের রিসোর্ট বা ব্যক্তিগত জাহাজে পাড়ি দিয়েছেন। তাদের এই বিলাসবহুল অ্যারিস্টক্র‌্যাট বাঙ্কারে রয়েছে জিম, সনাবাথ, সুইমিং পুল, জাকুজি, গ্যারাজ, গ্রিন হাউসের মতো আরামদায়ক জিনিসপত্র। এর মধ্যেই কয়েকজন মার্কিন কোটিপতি স্টক মার্কেট কিছুটা উন্নত হওয়ায় সেখানে টাকা খাটিয়ে ১৮ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিলের মধ্যে নিজেদের সম্পত্তি ১০ শতাংশ বা ২৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাড়িয়েও নিয়েছেন।

তবে এর মধ্যেই কয়েকজন ধনী কোভিড–১৯ খাতে কিছু দানও করেছেন, যেমন টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডর্সি দিয়েছেন এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস আমেরিকার ফুড ব্যাঙ্কে দিয়েছেন ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

কিন্তু ফোর্বস ম্যাগাজিনের মতে, ২০১৯–এ যেখানে ২১৫৩ কোটিপতি এধরের সমস্যায় অনুদান দিয়েছিলেন, সেখানে এবছর এপর্যন্ত ২০৯৫ জন কোটিপতিই অনুদান দিয়েছেন।

-কেএম

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily