ডেস্ক রির্পোটঃ
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে ১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।
সংস্থাগুলো এমন দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যাঁ পিয়েরে ল্যাকরোইক্সকে চিঠি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) এ চিঠির বিষয়টি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
এই আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো হল- অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এশিয়ান ফেডারেশন অ্যাগেইনস্ট ইনভলানটারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স (এএফএডি), এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফোরাম-এশিয়া), এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন, এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন, ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট, ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পারসিটিসিপেশন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ইন্টারন্যাশনা ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস, রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস, দ্য অ্যাডভোকেটস ফর হিউম্যান রাইটস, ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অ্যাগেইনস্ট টর্চার (ওএমসিটি)।
চিঠিতে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলেছে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিভাগের উচিত র্যাবকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে নিষিদ্ধ করা।
চিঠির সঙ্গে র্যাবের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গণমাধ্যম থেকেই এ সংবাদ তারা পেয়েছেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পেলে পরবর্তীতে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
এর আগে গত বছরের ৮ নভেম্বর পাঠানো চিঠির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিভাগ।
চিঠিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, ২০০৪ সালের র্যাব গঠনের শুরু থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত র্যাবের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, জোরপূর্বক গুম করে দেওয়ার বিস্তর অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তারা।
বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনীর সাড়ে ৬ হাজারের বেশি সদস্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েন রয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
তারা বলেছে, র্যাব ধারাবাহিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অপরাধ করলেও বাংলাদেশ সরকার তাদের পুরস্কৃত করছে ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, ২০১২ সালে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের যে নীতি নিয়েছিল, তা জাতিসংঘ মিশনে আসা বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রয়োগ করছে না।
র্যাব সদস্যদের বিষয়ে কোনো ধরনের যাচাই না করেই তাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে শান্তিরক্ষা মিশনে।
চিঠিতে জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কাউকে নিয়োগ দেওয়ার আগে একটি যাচাই পদ্ধতি চালু করা উচিত যেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্যাতনের অভিযোগও তদন্ত করে দেখা হবে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরও জানায়, বাংলাদেশ সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে, মানবাধিকার রক্ষাকারী এবং ভুক্তভোগীদের পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিয়েছে।
-টিপু