অনলাইনঃ
রমজান মাস উপলক্ষে রাজধানীতে মাংসের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
প্রথম রোজা থেকে ২৬ রোজা পর্যন্ত প্রতি কেজি দেশি গরুর মাংসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২৫ টাকা।
তবে বিদেশি গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, মহিষের মাংস ৪৮০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০ টাকা। এ ছাড়া ভেড়া ও ছাগীর মাংস ৬৫০ টাকা ধরে বিক্রি করতে বলা হয়েছে।
আজ ৬ মে, সোমবার দুপুরে নগর ভবনে মাংস ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ ডিএসসিসি ও ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ দাম নির্ধারণ করা হয়। এ দাম না মানলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন।
মেয়র বলেন, ‘আমরা এর আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা আমাদের জানিয়েছেন দ্রব্যমূল্য গত বছরের তুলনায় এবার কোনোভাবেই বাড়বে না। বরং কিছুটা হলেও কমবে। হোটেল রেস্তোরার মালিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেছি। তারাও যাতে খাবার স্থাস্থ্যসম্মত রাখে সে জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মাংসের নতুন দামের ক্ষেত্রে যাতে কোনো অনিয়ম না হয় সেজন্য কাল (৭ মে) থেকে ডিএসসিসির বাজার মনিটরিং টিম মাঠে নামবে। কোনো ব্যবসায়ীর অনিয়মের অভিযোগ ও প্রমাণ পাওয়া গেলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ‘
এর আগে ঘন্টা ব্যাপী চলা বৈঠকে মেয়রের কাছে মাংস ব্যবসায়ীরা নানা অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, গরুর মাংসের দাম বাড়ার পিছনে অন্যতম কারণ হল গাবতলীর হাটের কতিপয় চাঁদাবাজিদের উৎপাত। তাদের কারণে প্রতি গরু প্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকাও খাজনা দিতে হয়। তাদের নিয়ন্ত্রণ করা গেলে মাংসের দাম অনেক কমে যাবে।
এ বিষয়ে মেয়র বলেন, গাবতলীর হাটে চাঁদাবাজি বন্ধ করতেই হবে। মাংস ব্যবসায়ীরা গাবতলী হাটের চাঁদাবাজির বিষয়ে যে অভিযোগ করেছেন সেটি ডিএনসিসির সঙ্গে আলাপ করে সমাধান করা হবে।