আন্তর্জাতিকঃ
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা রাজীব গান্ধীর হত্যাকারী নলিনী শ্রীহরণ জেলের মধ্যেই ‘আত্মহত্যা’র চেষ্টা করেছেন।
২০ জুলাই, সোমাবার মধ্যে রাতে ‘আত্মহত্যা’র চেষ্টা করেন তিনি। নলিনী তামিল বিদ্রোহী সংগঠন এটিটিই’র সদস্য। তার আইনজীবী পুগালেনথি এই তথ্য জানান।
নলিনী শ্রীহরণ প্রায় ২৯ বছর ধরে তামিলনাড়ুর ভেলোরের নারী কারাগারে বন্দী। এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতের গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।
এ বিষয়ে পুগালেনথি জানান, এর আগে কখনো আত্মহত্যার চেষ্টা করেনি নলিনী। যাবজ্জীবনের সাজাপ্রাপ্ত আরো এক নারী বন্দীর সঙ্গে ঝামেলা হয় নলিনীর। এরপর সেই বিষয়টি নিয়ে জেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে অভিযোগও করেন অন্য বন্দীরা। এই ঘটনার পরই আত্মহত্যার চেষ্টা করে নলিনী।
এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে ওই আইনজীবী বলেন, ‘তিনি এমন কাজ আগে কখনো করেননি। তাই আমি সত্যি ঘটনাটা জানতে চাই।’
একই মামলায় নলিনীর স্বামী মুরুগানও জেলে রয়েছেন। আইনজীবীর মাধ্যমে ভেলোর জেল থেকে পুঝাল জেলে বদলির জন্য আবেদন করেছিলেন নলিনী। এ বিষয়ে দ্রুতই আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার কথাও জানান আইনজীবী পুগালেনথি।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরের দিকে মুক্তির দাবিতে অনশনে বসেছিলেন নলিনী। তিনি দাবি করেন, প্রায় ৩০ বছর তিনি এবং তার স্বামী মুরুগান জেলে রয়েছেন। তাই অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিতে হবে। এজন্য জেল কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠিও লিখেছিলেন তিনি। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এর একমাস পর ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মাদ্রাজ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি অমরেশ্বর প্রতাপ সাহির কাছে নিজের ও স্বামী মুরুগানের স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্য আবেদন করেন নলিনী। এতেও কাজ হয়নি। এবার ‘আত্মহত্যা’র চেষ্টা করে আবারো আলোচনায় আসলেন নলিনী।
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ২১ মে ভারতের তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুর একটি নির্বাচনী জনসভায় ভারতের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধিকে হত্যা করে এলটিটিই’র আত্মঘাতী বিদ্রোহীরা। এই হত্যা মামলায় নলিনীসহ সাতজনকে দোষী সাব্যস্ত করে ভারতের আদালত।
-কেএম