জাতীয় সম্পদঃ
চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কাপ্তাইয়ে রেলপথ নির্মাণ করা হবে।
এ তথ্য জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৬ ( রাউজান) আসনের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে রেলপথ নির্মাণ হলে পর্যটকসহ স্থানীয় জনগন ট্রেনে করে খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সীতাকুণ্ডের কুমিরায় আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইআইইউসি) পাশে ট্রেন স্টেশনের যাত্রী সুবিধা বৃদ্ধির জন্য প্লাটফর্ম উঁচুকরণ, শাটল ট্রেন সার্ভিসের জন্য নতুন স্টেশন ভবন নির্মাণ, অ্যাক্সেস কন্ট্রোল, স্টেশন অ্যাপ্রোচ রোড এবং প্লাটফর্ম শেড নির্মাণকাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
ফজলে করিম বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। দেশে ৫৫টি নতুন রেল স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলেই হবে ২৬টি। চালু হবে ঢাকা- চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেন। এটা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের রেললাইনের কাজ শেষ হবে ২০২২ সালে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম থেকে চুয়েট হয়ে কাপ্তাই পর্যন্ত রেললাইন যাবে। এরপর বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়িতেও ট্রেন চালু করা হবে।
এছাড়াও নাজিরহাট থেকে রামগড় স্থলবন্দর পর্যন্ত রেললাইন চালু করা হবে।
ফজলে করিম বলেন, বন্দরে যে বে-টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে সেখান থেকে মালামাল পুরো বাংলাদেশে ট্রেনযোগে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। আগে বাংলাদেশ রেলওয়ের কোনো অভিভাবক ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর রেলকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। রেলের কার্যক্রমে গতি এসেছে।
এসব স্টেশনের নির্মাণকাজ শুরু হবে আগামী ৭ অক্টোবর থেকে। সুষ্ঠুভাবে কাজ শেষ করতে ছয় মাসেরও কম সময় লাগবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য ও আইআইইউসি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, আইআইইউসির ভিসি প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ, বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. সুবক্তগীন।
-ডিকে