অনলাইনঃ
নতুন সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ কার্যকর করা হয়েছে। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন আইনটি আগের থেকে অনেক বেশি কঠোর, আপনি যদি ব্যক্তিগত বাইক দিয়ে রাইড শেয়ারিং করে থাকেন, তাহলে আপনাকে এখন বেশ কিছু নীতিমালা মেনে রাইড শেয়ার করতে হবে।
রাইড শেয়ারিং এর নতুন নিয়মাবলী সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক:
১। রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে যে সকল মোটরযান ব্যবহার করা হবে তাতে ৯৯৯ ব্যবহারের নির্দেশিকা যুক্ত স্টিকার থাকতে হবে, এবং সেটি অবশ্যই এমন জায়গায় থাকতে হবে যেটি দৃশ্যমান।
২। মোটরযানের মালিককে ‘রাইডশেয়ারিং মোটরযান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট’ গ্রহণ করতে হবে।
৩। রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে ব্যবহার করা মোটরযানগুলোর সকল ডকুমেন্টস আপডেট থাকতে হবে।
৪। রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান, মোটরযানের মালিক এবং চালকের মধ্যে সমোঝোতার চুক্তি থাকতে হবে। যেখানে সকল পক্ষের অধিকার এবং দায়িত্বের কথা উল্লেখ থাকতে হবে। মোটরযান মালিক এবং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এক মাসের অগ্রিম লিখিত নোটিশের মাধুমে চুক্তিটি বাতিল করতে পারবেন।
৫। আমরা রাস্তায় বের হলে ইদানিং দেখতে পায় বিভিন্ন জায়গায় মোটরসাইকেল চালকেরা জটলা করে দাঁড়িয়ে আছে এবং আপনাকে ডাকাডাকি করছে। এই কাজটি রাইডশেয়ারিং নীতিমালার বিরুদ্ধে। নির্ধারিত স্থান অথবা অনুমোদিত পার্কিং ব্যতিত যেখান সেখান থেকে যাত্রি নেয়ার জন্য দাঁড়ানো যাবে না। আপনি যদি যাত্রি নিতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই চলমান অবস্থায় থাকতে হবে।
৬। একজন মোটরযান মালিক কেবলমাত্র একটি যান রাইড শেয়ারিং এ ব্যবহার করতে পারবে।
৭। ব্যক্তিগত মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন গ্রহণের পর কমপক্ষে এক বছর পার না হলে সে মোটরযানটি রাইড শেয়ারিং এ দিতে পারবে না।
৮। রাইড শেয়ারিং চালকের অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। লার্নার কার্ড দিয়ে আপনি সড়কে বাইক রাইড করতে পারবেন না। যদি কোন প্রতিষ্ঠান আপনাকে রাইড শেয়ার এর অনুমতি দিয়েও দেয় তাহলে রাস্তায় বের হলে আপনি বড় ধরনের জরিমানার সম্মুখীন হবেন।
৯। রাইড শেয়ারিং এর চালকদের অবশ্যই এপসে লগ ইন এবং লগ আউট করার ক্ষমতা থাকতে হবে, এর মানে হলো চালককে মোবাইল বিষয়ক বেসিক ধারণা থাকতে হবে।
-কেএম