রক্ত এবং ত্যাগ ছাড়া কোনো আন্দোলন সফল হয়নিঃ ভিপি নুর

অনলাইনঃ

ডাকসুর সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে রক্ত এবং ত্যাগ ছাড়া কোনো আন্দোলন সফল হয়নি, অধিকার আদায় হয়নি। তাই দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ৫২, ৭১, ৯০ এর মতো আরেকবার আপনাদেরকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।

আজ বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীতে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের দিনকে (৩০ ডিসেম্বর) ‘ভোটাধিকার হরণের দিন’ আখ্যা দিয়ে ডাকসুর সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের সংগঠন ছাত্র, যুব, শ্রমিক পরিষদ কালো পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। মিছিলটি পুরানা পল্টন মোড় থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল, মৌচাক, মগবাজার, হাতিরঝিল মোড় হয়ে কারওয়ান বাজার মোড়ে এসে শেষ হয়।

নুরুল হক নূর বলেন, ভারতের মদদে ১-১১ এ নীল নকশার মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে একদলীয় স্বৈরশাসন কায়েম করা হয়েছে।  ২০১৪ সাল ও ১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ভোটডাকাতির নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে।
 
বর্তমান সরকারকে স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুর আরও বলেন, স্বৈরাচার সরকারের কাছে দেশে আজ কেউই নিরাপদ নয়। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি খুন হয়েছেন, পুলিশ সেনাবাহিনীর একজন মেজরকে গুলি করে মারল, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আবরার, বিশ্বজিতের মতো অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। 

তিনি বলেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ গুণ্ডালীগ এবং ভারেতর দালাল প্রশাসনের মাধ্যমে সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছে। এর বিরুদ্ধে সবাইকে জেগে উঠতে হবে। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিতের যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বিজয়ের ৫০ বছরেও তা অর্জিত হয়নি। ক্ষমতা কেন্দ্রিক সংঘাত-সহিংসতার রাজনীতিতে ৫০ বছরেও জন-আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। 

এ সময় তিনি ছাত্র, যুব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গড়তে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

নূর বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের সময় শেষ হয়ে আসছে। জনগণকে রাজপথে নামতে হবে। জনগণ রাজপথে নামলে স্বৈরাচার ও তার দোসররা দেশ ছেড়ে পালাবে।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হাসান, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আতাউল্লাহসহ সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় নেতারা।

-কে

FacebookTwitter