সারাদেশঃ
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আগামী শনিবার সকালে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
তিনি বলেন, ভারতের উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে আগামী ৪ মে সকালে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। বুধবার সচিবালয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর আয়োজিত বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
খবর ইউএনবিকে তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণঝড় ফণীর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় দেশের উপকূলীয় ১৯টি জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে এবং সতর্ক করা হচ্ছে। এছাড়া ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জৈষ্ঠ সচিব মো. শাহ কামাল বলেন, গত ২৪ এপ্রিল থেকে এখন প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে রয়েছে। কিন্তু প্রথমে তামিলনাড়ুর দিকে আঘাত করার সম্ভাবনা থাকলেও পরে ডান দিকে মোড় নিয়ে ওড়িশার দিকে আঘাতের আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। আরো ডান দিকে এলে পশ্চিমবঙ্গের আঘাতের সম্ভাবনা থাকে। তবে আরো ডান দিকে মোড় নিলে সাতক্ষীরা অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। এভাবে আরো ডানদিকে মোড় নিলে কক্সবাজারের দিকে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি প্রতিনিয়ত মুভ করছে। আমরা পুরো উপকূলীয় এলাকাকে সতর্কে রেখেছি। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।