তথ্য প্রযুক্তিঃ
ঢাকার রাস্তায় অন্যতম সমস্যার একটি যানজট। এর কারণে ঢাকাবাসীকে অন্তত দিনে গড়ে আড়াই ঘণ্টা রাস্তায় থাকতে হয়। এই জট দূর করতেই কাজ শুরু করেছে ‘পার্কিং কই’।
‘পার্কিং কই’ হচ্ছে একটি স্টার্ট আপ যারা অ্যাপের মাধ্যমে গাড়ির আশেপাশে থাকা পার্কিং খুঁজে পেতে সহায়তা দিয়ে থাকে। একজন গাড়ি চালক তার মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই দেখতে পারবেন তার আশেপাশে কোথায় ফাঁকা পার্কিং আছে এবং তার ভাড়া কত। এতে করে গাড়ি চালকের রাস্তার পাশে গাড়ি পার্ক করার প্রয়োজন হবে না। ফলে একদিকে যেমন ট্র্যাফিক সমস্যার সমাধান হচ্ছে, অন্যদিকে পুলিশি হয়রানি বা গাড়ির ক্ষয়ক্ষতিজনিত সমস্যাও লাঘব হবে।
কোম্পানিটির সিইও রাফাত রহমান বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের কার্যক্রম ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটে শুরু করেছি। খুব শিগগিরই আমরা নেপালে আমাদের প্রথম আন্তর্জাতিক অফিস খোলার মধ্য দিয়ে আমাদের কার্যক্রম সেখানেও শুরু করবো। আশা করি ‘পার্কিং কই’ প্রথম বাংলাদেশি কোম্পানি হিসেবে আন্তর্জাতিক যানজট এবং পার্কিং সম্পর্কিত সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারবে।
‘পার্কিং কই’র বিজনেস লীড দিবাকর সাহা দীপ বলেন, পার্কিং কইয়ের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই আমরা বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমরা মূলত একটি অব্যবহৃত পার্কিংকে তার পাশেই থাকা একজন ‘পার্কিং কই’ ইউজারের সাথে কানেক্ট করে দেই।
‘‘ধরা যাক, আপনার বাসা গুলশান। কিন্ত আপনি গাড়ি নিয়ে ঘুরতে গেলেন বনানী। ঠিক এই মুহূর্তে আপনার গুলশানের পার্কিংটি ফাকা রয়েছে।
আমরা ঠিক ঐ সময়টুকুর জন্যেই আপনার পার্কিংটি অন্য একজন গ্রাহককে দিয়ে দেবো, এভাবে আপনিও ধানমন্ডি গিয়ে অন্য কারও পার্কিং ব্যবহার করতে পারবেন। এতে করে একদিকে যেমন আপনার ঘন্টা প্রতি পার্কিং বাবদ একটা ইনকাম হচ্ছে অব্যবহৃত পার্কিং থেকে অন্যদিকে সামাজিক দায়বদ্ধতাও মেটাতে পারছেন।’’
সিকিউরিটি ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোম্পানির আরেক কো- ফাউন্ডার এবং সিটিও সাব্বির জানান, আমাদের এখানে প্রতিটি গাড়ি বা ইউজার রেজিস্ট্রেশন করার সময় আমরা তার সকল ইনফরমেশন খুব যত্ন সহকারে সংগ্রহ করে থাকি, যাতে পার্কিং প্লেস কিংবা গাড়ি দুটোই সুরক্ষিত থাকে। আমাদের প্রতিটি পার্কিং প্লেসেই নিজস্ব গার্ড এবং সিসিটিভি রয়েছে তাই আমরা শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি।