প্রবাসী কথাঃ
কানাডার ম্যানিটোবায় একটি স্থায়ী শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ২৪ মার্চ ২০১৯ তারিখে ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবার মাল্টিপারপাস হলে একটি তহবিল সংগ্রহ প্রীতিভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ম্যানিটোবা বাংলাদেশ ভবন কর্পোরেশন-এর তত্বাবধানে এবং কানাডা-বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন (সিবিএ) ও ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা স্টূডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় প্রীতিভোজটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রিয় সরকারের দুইজন এমপি, প্রাদেশিক সরকারের একজন এমএলএ, একাধিক নগর প্রতিনিধি, ম্যানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এবং স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বিশিষ্টজন এবং অভ্যাগতরা প্রকল্পটির ভুয়সী প্রশংসা করেন, এবং সাফল্য কামনা করেন। প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে সকল মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর সুবিধার্থে শহিদ মিনারটি আন্তর্জাতিক ভাষা ফলকরূপে ব্যবহৃত হবে।
ঊল্লেখ্য, ২০১২ সাল হতে কানাডার ম্যানিটোবা প্রদেশের রাজধানী শহর উইনিপগে একটি স্থায়ী শহিদ মিনার নির্মাণের ভাবনা শুরু হয়। ২০১৭-২০১৮ সনে নগর প্রশাসনে প্রকল্প উপস্থাপন, স্থাপত্য নকশা অংকন, সংযোজন-বিয়োজন, সম্ভাব্যতা ও সক্ষমতা যাচাই, প্রতিবেশ-বান্ধবতা যাচাই, প্রকল্প অনুমোদন, সাইট নির্ধারণসহ সকল দাপ্তরিক আনুষ্ঠানিকতা নির্বাহ করা হয়। ২০১৮ সনে উইনিপেগ নগর কর্তৃপক্ষ রিচমন্ড ওয়েস্ট এলাকার কার্কব্রিজ পার্কের সর্বাধিক নান্দনিক স্থানটি মিনার নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়। একটি ছোট হংসপুকুরের পাড়ে সুউচ্চ ঢিবিযুক্ত স্থানটিই বরাদ্দ দেয়া হয়। স্থান অনুদানের বাইরে নগর কর্তৃপক্ষ ২৫০০০ ডলার অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেয়।
এই নির্মাণকাজের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে কানাডিয় মুদ্রায় ১২০,০০০ ডলার। নগর আইন অনুযায়ি ব্যয়ের সিংহভাগ বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি এবং বিদেশিদের অরাজনৈতিক ব্যক্তিগত আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে নির্বাহ করতে হবে।
মিনার কম্পাউন্ডে কুড়িটি সুদৃশ্য আসন থাকবে। ২০০০ কানাডিয় ডলার অনুদান প্রদানের মাধ্যমে ব্যক্তি, ব্যক্তিবর্গ, সমিতি, সংগঠন, প্রতিষ্ঠান একেকটি আসন ক্রয় করতে পারবেন। আসনগুলোতে দাতাদের নাম খোদাই করা থাকবে। তাছাড়াও যে কেউ ক্ষুদ্র অংকের অনুদান প্রদান করে নিজেদের নাম খোদিত সুদৃশ্য স্মারক ক্রয় করতে পারবেন। এপ্রিল মাস হতে ক্রাউডফান্ডিং এর মাধ্যমেও প্রকল্প ব্যয়ের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ করা হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি শিশু-কিশোর, গায়ক-গায়িকা, আবৃত্তিশিল্পী ও নৃত্যশিল্পীগণ একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপহার দেন।
কানাডা-বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিসেস নাসরিন মাসুদ, এবং বাংলাদেশ ভবন কর্পোরশনের সভাপতি খাজা আব্দুল লতিফ পৃথিবীর সকল প্রান্তের বাংলাদেশিদের এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তা প্রদানে এগিয়ে আসার আকুল আবেদন জানান।
-ডিকে