মেসির পর মাহবুব নাহিদ পেলেন বেস্টসেলার পুরস্কার

মেসির পর মাহবুব নাহিদ পেলেন বেস্টসেলার পুরস্কার
মেসির পর মাহবুব নাহিদ পেলেন বেস্টসেলার পুরস্কার

স্পোর্টসঃ

উন্মাদনার আরেক নাম লিওনেল মেসি। সেই মেসিকে নিয়ে ‘লাইফ লেসনস ফ্রম মেসি’ শীর্ষক বই লিখেছিলেন তরুণ লেখক মাহবুব নাহিদ।

গত অমর একুশে বইমেলায় বইটি প্রকাশের পর মেসির ভক্ত পাঠকরা যেন হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন দাঁড়িকমা প্রকাশনীর স্টলে। মূহুর্তেই ফুরিয়ে যায় প্রথম সংস্করণের সবগুলো কপি।

পুরো মেলায় পাঁচটি মুদ্রণ আনতে হয়েছিলো প্রকাশককে। ‘লাইফ লেসরন ফ্রম মেসি’ বইয়ের প্রাপ্তি এখানেই শেষ নয়।

বইটি লিখে বেস্ট অব দ্য বেস্টসেলার লেখকের পুরস্কার পেলেন তরুণ লেখক মাহবুব নাহিদ।

সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান দাঁড়িকমা প্রকাশনী গত অর্থ বছরে সর্বোচ্চ বিক্রিত বইয়ের লেখকদের ‘দাঁড়িকমা বেস্টসেলার পুরস্কার ২০২৩’ প্রদান করেছে।

আজ ২৯ জুলাই ২০২৩, শনিবার সকালে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে মাহবুব নাহিদের হাতে বেস্ট অব দ্যা বেস্টসেলার লেখকের পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হক।

পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যান্য লেখকরা হলেন, উপন্যাস বিভাগে মোহাম্মাদ আলী, ছোটগল্প বিভাগে মাহফুজ ফারুক, ক্যারিয়ার বিভাগে যৌথভাবে সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তী ও মান্না দে, মুক্তগদ্য বিভাগে জনি হোসেন কাব্য, কবিতা বিভাগে শাহীন ইসলাম, অনুবাদ বিভাগে এ.এস.এম রাহাত, শিশুসাহিত্য বিভাগে ফারজানা আক্তার ও লাইফস্টাইল বিভাগে সাজ্জাদ হুসাইন রাহাত।

নতুন লেখকদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি আনিসুল হক বলেন, ‘কিছু বিষয় আছে যা মানুষকে হৃদয় দিয়ে, ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করতে হয়।

সাহিত্য তেমনই একটি বিষয়। লেখালেখি করে যদি সমাজের সংস্কার করতে পারেন তাহলে লিখবেন, যদি দেশের উপকার করতে পারেন তাহলে লিখবেন।

শুধু সমাজ ও দেশের সংস্কারই নয়; যদি সৌন্দর্য সৃষ্টি করতে পারেন তাহলেও লিখবেন।’

নিজের বক্তব্যের সময় মাহবুব নাহিদ বলেছেন, “এত বড় একজন মানুষের হাত দিয়ে নেওয়া পুরষ্কার আমার লেখালেখির দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিবে”

দাঁড়িকমা প্রকাশনীর প্রকাশক আবদুল হাকিম নাহিদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আসাদ কাজল।

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় উপস্থাপক সাদিয়া রশ্নি সূচনা। এছাড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

পুরস্কার বিতরণ ছাড়াও অনুষ্ঠানটি লেখক-পাঠকের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিলো।

অনুষ্ঠানে আগত পাঠকদের হাতে জনপ্রিয় ও চিরায়ত সাহিত্যের দুটি করে বই এবং বই সংগ্রহের জন্য বিশেষ ডিসকাউন্ট কার্ড তুলে দেয়া হয়।

-শিশির

FacebookTwitter