মেগা প্রকল্প নিয়ে আবারও কাজ করবে সরকার-অর্থমন্ত্রী

অনলাইনঃ
বাংলাদেশ দিনে দিনে শুধু সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। অগ্রগতির সকল খাতে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। তাই এখনই বিনিয়োগের সুবর্ণ সময়।

বিশেষ করে জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই জাপানের সাথে আমাদের নিবিড় সম্পর্ক। দিন দিন সে সম্পর্ক আরো বৃহৎ পরিসরের দিকে যাচ্ছে।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ করে বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে জাপান সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের অত্যন্ত বিশ্বস্ত বন্ধু হলো জাপান। বর্তমানে জাপানের সাথে আমাদের অনেকগুলো প্রকল্প চলমান। এসকল প্রকল্প আমাদের বিনিয়োগ প্রকল্প, এগুলো থেকে সুফল নিশ্চিত। আগামীতেও তাদের সাথে আমাদের আরো বেশী বেশী মেগা প্রকল্পে কাজ করার প্রত্যয় রয়েছে। জাপান সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে থাকে এবং এমওইউতে সুদের হারও কম থাকে। জাপানের কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকে না।

তাই জাপানের সঙ্গে কাজ করা অনেক সহজ।

আগামী ১৬ তারিখে তারা তাদের পুরো প্রতিনিধি দল নিয়ে আসবে এবং আমাদের পারস্পারিক সুবিধা অসুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

সোমবার (৪ নভেম্বর, ২০১৯) শেরেবাংলা নগরে মাননীয় অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতোর (Mr. Naoki Ito) সৌজন্য সক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের উদ্যেশে মাননীয় অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এর পূর্বে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের একটি প্রতিনিধিদল মাননীয় অর্থমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাননীয় মন্ত্রী বলেন, তাদের দাবি ছিল পিপিলস লিজিং এন্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস (পিএলএফএস) অবসায়ন প্রক্রিয়া বন্ধ করা এবং ক্ষুদ্র ও ব্যক্তি আমানতকারীদের সঞ্চয় ফেরত দেওয়া। তার জানিয়েছেন, পিপলস লিজিংয়ের ক্ষুদ্র আমানতকারীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ রেখে এখন তা ফেরত না পেয়ে চরম অসহায় অবস্থায় দিন পার করছে।

এ অবস্থায় হাজারো আমানতকারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অনিশ্চিত জীবনযাপন করছে। একটি অসাধু চক্র এ কাজটি করেছে। আজ যারা এসেছে এরা মুলত এক পক্ষ, এরা বিনিয়োগকারীরা। তাদের সমস্যাটাই আসলে বেশী। বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে বলে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।

গত রবিবার (৩ নভেম্বর) ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বাধীন পর্যালোচনা: ২০১৯-২০ অর্থবছর প্রারম্ভিক মূল্যায়ন’ করতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিকে ‘সুতা কাটা ঘুড়ি’র সঙ্গে তুলনা করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)’র বক্তব্যটি উল্লেখ পূর্বক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাননীয় মন্ত্রী বলেন, আমাদের আর তাদের অবস্থান একরকম নয়। আমাদের অবস্থান আমাদের দেশের জনগণের জন্য, তাদের ভুত ভবিষ্যতের জন্য। আমি গুণ কীর্তন করব দেশের জনগণের। দেশে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে কি না-হচ্ছে, কর্মসংস্থান হচ্ছে কি না-হচ্ছে, এটা আপনারা ভালো জানেন। ২০০১ সালে ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে ছিল। সেটা কমে এখন ২০ শতাংশের কাছাকাছি। এই যে দরিদ্র দূর হলো, এটা কীসের হাত ধরে হয়েছে। স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।

আর কোনো রকম ম্যাজিকতো আমাদের হাতে নাই। সিপিডি বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে মূল্যায়ণ করলে খুশি হওয়া যেতো। প্রবৃদ্ধি অন্যদের কতটা বাড়ছে, সেটা বললে আমার কাছে পরিষ্কার হত। আমরা একা নই, বিশ্বের অংশ।

এখন সারাবিশ্বে একটা টানাপড়েন চলছে। সারাবিশ্বে একট বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে। ইউরোপে ব্র্যাক্সিট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটা অস্থিরতা যাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে আমাদের রফতানি বাণিজ্য এটা একটু ঝুঁকির মধ্যে থাকবেই। চরম বৈশ্বিক মন্দার সময়ও বাংলাদেশের অগ্রগতি থেমে থাকেনি। এই পরিস্থিতিও আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অবশ্যই মোকাবেলা করতে পারব।
-শিশির

FacebookTwitter