ধর্ম, ইসলামঃ
কেউ যদি মৃত ব্যক্তির পক্ষে কোনো পশু কোরবানি করেন তাহলে সেই কোরবানি বা মৃতের জন্য কোরবানি জায়েজ। মৃত ব্যক্তি যদি অসিয়ত না করে থাকেন তাহলে সেই কোরবানি নফল হিসেবে গণ্য হবে।

কোরবানির পশুর গোশত স্বাভাবিক গোশতের মতো নিজেরা খেতে পারবেন। আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে বিতরণ করা যাবে। তবে মৃত ব্যক্তি যদি কোরবানির অসিয়ত করে মারা যেয়ে থাকেন তাহলে সেই কোরবানির মাংস নিজেরা খেতে পারবেন না। সেই মাংস গরিব-মিসকিনদের মাঝে সদকা করতে হবে। (মুসনাদ আহমদ, হাদিস : ০১/১০৭; ইলাউস সুনান, হাদিস : ১৭/২৬৮; রাদ্দুল মুহতার : ৬/৩২৬; ফতওয়া কাজিখান : ০৩/৩৫২)

অংশীদার বা শরিক হয়ে কোরবানির ক্ষেত্রে বিধান : একাধিক ব্যক্তি শরিক হয়ে বা অংশীদার মিলে কোরবানি দিলে সেখানে যদি ৭ম ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির পক্ষে কোরবানি দেয় তাহলে বাকি সবার কোরবানি শুদ্ধ হবে। অন্য অংশের সদস্যরা ওই অংশের মাংস খেতে পারবেন। তবে এটা না করাই উত্তম।

মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে দেয়া কোরবানির গোশত কোরবানিদাতা পাবেন। তিনি এই মাংস খেতে পারবেন এবং সদকাও করতে পারবেন। কোরবানিদাতা চাইলে অন্য অংশীদারদের হাদিয়া হিসেবেও দিতে পারবেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৮৫; বাদায়িউস সানায়ি : ০৪/২০৯; আদ-দুররুল মুখতার : ০৬/৩২৬; আল-মুহিতুল বুরহানি : ০৮/৪৭৮)।

-কেএম

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily