সারাদেশঃ

রাতের আধারে ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে ১টার দিকে এই ঘটনা।

রাজধানী মোহাম্মদপুরের কলেজগেট এলাকার বিল্লাহ ফার্মায় ঘটে এই ঘটনা। দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, সড়কে কেউ নেই, হঠাৎ একটি ট্রাক দাঁড়ায় ওষুধের দোকানটির সামনে। ট্রাক থেকে নামা সবার মাথায় গামছা বাঁধা, মাস্ক মুখে পরা, হাতে চাপাতি।

কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দুজন চাপাতি ও একজন রড নিয়ে ওষুধের দোকানে ঢুকে পড়ে। দোকানে থাকা এক ক্রেতাকেও ভিতরে নিয়ে যায় তারা। ফার্মেসির ভেতরে ছিলেন মালিক নাহিদ বিল্লাহ ও পাশের ইউসিবিএল ব্যাংকের এটিএম বুথের সিকিউরিটি মো. সোহাগ। পরে আরমান, সোহাগ ও নাহিদকে মারতে মারতে দোকানের পেছনে নিয়ে যায়। এ সময় আরমানের পকেটের মানিব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে নেয় তারা। শুরুতেই ফার্মেসিতে থাকা ল্যাপটপ নিয়ে ট্রাকে রেখে আসে ডাকাতদের এক সদস্য। এরপর নগদ টাকা নিয়ে দ্রুত চলে যায়। মাত্র ২ মিনিটের মধ্যেই ডাকাতি করে চলে যায় তারা।

এ সম্পকে ইউসিবিএল ব্যাংকের এটিএম বুথের সিকিউরিটি সোহাগ বলেন, ‘দোকান বন্ধ করছিলেন নাহিদ স্যার। আমি ভিতরে পানির বোতলের জন্য যাই। এমন সময় তিনজন ফার্মেসিতে ঢুকে দুজনের হাতে চাপাতি একজনের হাতে রড সবার মুখে মাস্ক পরা। কিছু করার আগেই তারা আমাদের মারতে শুরু করে। পরে সবাইকে পিছনে নিয়ে যায়। অন্য দুজনে ল্যাপটপ ও ক্যাশের টাকা নিয়ে নেয়।

এ সম্পর্কে বিল্লাহ ফার্মার মালিক নাহিদ বিল্লাহ বলেন, ‘দোকান বন্ধ করার জন্য ঝাড়ু দেওয়া হচ্ছিলো। এর মধ্যে একজন ওষুধ নিতে আসে। আমি ওষুধ দিচ্ছিলাম এমন সময় তিনজন ফার্মেসিতে ঢুকে কাস্টমারকে চাপাতি দিয়ে মারতে শুরু করে আর একজন আমার ল্যাপটপ নিয়ে নেয়। কাস্টমারকে যখন মারছে আমি বাধা দেওয়াতে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। ক্যাশে থাকা টাকাও নিয়ে গেছে। চলে যাওয়ার পর দৌড়ে বের হলেও ট্রাক দেখতে পাইনি। পরে মোটরসাইকেল দিয়ে শ্যামলী পুলিশ বক্স পর্যন্ত গেলেও পাইনি। আমি মামলা করবো।’

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘এটি ডাকাতি নয়, লোক ছিলো তিনজন। এটি ডাকাতি হয় কিভাবে। এরপরও অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেব। আমি গিয়েছিলাম।’

-ডিকে

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily