আইন আদালতঃ
রাজধানীর মিরপুর থেকে ভন্ড পীরের এক সহযোগী আব্দুর রহিমকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালের দিকে মিরপুরের মধ্য পাইকপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোস্তাজিরুর রহমান জানান, তিন বছর আগে মধ্য পাইকপাড়ার একটি বাড়িতে আস্তানা গেড়ে ভন্ড পীর মহিবুল ইসলাম মিজান ওরফে ফকির মজনুশাহ (৪৭) ও তার সহযোগী আব্দুর রহিম। তারা বাড়ির মালিককে নানাভাবে প্রভাবিত করে ঐ বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্লাটে ভাড়া না দিয়ে আস্তানা বানিয়ে বসে।
তিনি বলেন, রবিবার মঞ্জিলা বেগম (৬৫) নামের এক নারী থানায় এসে অভিযোগ করেন যে, মহিবুল ইসলাম মিজান নিজেকে পীর বলে দাবি করে বিভিন্ন ধরনের ঝাড় ফুঁক দিয়ে চিকিৎসা করে থাকেন এবং আব্দুর রহিম তার সহযোগী। ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ তার মেয়ে শেফালীর (৩৫) শারীরিক সমস্যা জনিত কারনে চিকিৎসার জন্য ভন্ড পীরের আস্তানায় রেখে যায় শেফালীর স্বামী। একমাস পর ২৫ জানুয়ারি, ২০২০ মেয়েকে দেখতে আসেন মঞ্জিলা বেগম। তখন ভন্ড পীর ও তার সহযোগী তার মেয়ের সাথে দেখা করা যাবে না বলে জানান। তারা বলেন তার মেয়েকে নিয়ে যেতে হলে দেড় লক্ষ টাকা লাগবে। মঞ্জিলা বেগম মেয়ের সাথে দেখা না করেই ফিরে যান। ২ ফেব্রুয়ারি,২০২০ তারিখে তিনি পুনরায় মেয়ের সাথে দেখা করতে গেলে তারা একই কথা বলেন, সেই সাথে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন। তিনি নিরুপায় হয়ে মিরপুর মডেল থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান। থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভন্ড পীরের সহযোগী আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করে। ভন্ড পীর মহিবুল ইসলাম মিজান পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
মিরপুর মডেল থানার ওসি ডিএমপি নিউজকে আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে শেফালী ও আরো একটি মেয়ে যার নাম পায়েলকে (২১) উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই ভন্ড পীর নারীদের মগজ ধোলাই করে তাদের সম্ভ্রমহানি করত। আবার কখনো এদেরকে আস্তানায় আটকে রেখে মোটা অংকের টাকা চাঁদা আদায় করত। এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় মামলা রুজু হয়েছে।
সূত্রঃ ডিএমপি